কুষ্টিয়া-২ আসনে নির্বাচনী পথসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন বলেন,“মিরপুর-ভেড়ামারার সাধারন মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য সুযোগ চাই। মানুষের পাশে থেকে মেহনতী মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। মিরপুর-ভেড়ামারায় মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের যে ধারা সে ধারা থেকে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি। এর একটি মাত্র কারণ হলো আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সংসদ সদস্য না থাকায়। আমি মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালিন সময়ে যে ভাবে মানুষের পাশে থেকেছি, মানুষের সেবা করেছি। আরো একটু বেশি সেবা করার জন্য আজকে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আমার জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত সাধারন মানুষের জন্য লড়াই করে যাবো।”

মিরপুর-ভেড়ামারার আওয়ামী লীগের উপরে যতটা নির্যাতন হয়েছে তা কেউ ভুলে যায়নি। মিরপুর-ভেড়ামারার আওয়ামী লীগকে যারা এখনো দুর্বল ভাবছেন তারা ভুল ভাবছেন। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও সাধারন মানুষ জাসদ এর অত্যচার থেকে বের হতে চাই। জাসদ এখন এই অ লে কোনঠাসা দলে পরিনত হয়েছে। তারা জনগন থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। আবারো জাসদ আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপরেই হামলা-মামলা, অত্যাচারের নীল নকশা করছে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং সাধারন মানুষ সেটা সফল হতে দেবো না। এই নির্বাচনেই আমরা ঐ জাসদ নামের খেয়ে দেয়ে শোধ নামক দলকে বুঝিয়ে দিতে চাই। বার বার যে জাসদ আমাদের আওয়ামী লীগের উপরে সাপের মতো ছোবল মারে সে সাপকে আর মানুষ চাই না।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিহাট বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতিক) কামারুল আরেফিন তার নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন।

কামারুল আরেফিন আরো বলেন, সরকার সাধারন মানুষের জন্য টিআর কাবিখা দেয়, আর জাসদের কিছু নেতা গরু মোটাতাজা করণ ট্যাবলেট খাওয়ার মতো সেগুলো খেয়ে নিজেরা মোটাজাতা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এমনকি গোরস্থানের তো জায়গার বরাদ্ধ খেয়ে ফেলে তারা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে হাসানুল হক ইনু এই আসনের এমপি হন নৌকা প্রতিক নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থনে। যখন ভোট আসে তখন তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থন চান আর এমপি হওয়ার পরেই তিনি জাসদ হয়ে যান। তিনি নৌকায় এমপি হয়ে নৌকার তলে মশাল জ¦ালিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। আওমালীগ এমপি বানায় ইনুকে আর ইনু আওয়ামলীগকে জাসদ বানাতে চাই। এটা আমরা আর হতে দেবো না। আমরা উন্নয়ন চাই। মিরপুর-ভেড়ামারা আওয়ামী লীগ জাসদের পরাধীনতা আর চাই না। সময় এসেছে এবার জাসদের জবাব দেওয়ার।

তিনি ভোটারদের কাছে সকলের সেবা করার সুযোগ চেয়ে বলেন, মিরপুর-ভেড়ামারা উপজেলার মানুষের উন্নয়নে আপনারা একটা বার সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাক মার্কা প্রতিকে ভোট দিয়ে জাসদের পরাধীনতা থেকে বেরিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নে অংশ নিয়ে আধুনিক মিরপুর ভেড়ামারা গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যায়।

নির্বাচনী পথসভায় কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ, কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগণ, ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকগণ এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ প্রায় ৬শ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া তিনি এর আগে কুর্শা ইউনিয়নের কুন্টিয়ারচর, কাটদহচর, বালুচুর, ইশিলমারীবাজারে নির্বাচনী পথসভা করেন।

অপরদিকে আমলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একলেমুর রেজা সাবান জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে আমলা ইউনিয়নের অঞ্জনগাছী বটতৈলা বাজারে অনুরুপ এক নির্বাচনী পথ সভায় বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন।

মিরপুর-ভেড়ামারার ভোটারদের ভাষ্যমতে, এবারে আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসণে পরিবর্তন চান ভোটররা। হাসানুল হক ইনুর পরিবর্তে তারা এবারে কামারুল আরেফিনকেই বেশি সমর্থন করছেন এমনটাই সাধারন ভোটারদের কথা।