একই দিনে ডায়াবেটিস টেষ্টের দুই রকম ফলাফল দিয়েছে কুষ্টিয়া আমিন ডায়াগনস্টিক এন্ড মেডিক্যাল সার্ভিসেস ও কুষ্টিয়া ডায়াবেটিস সমিতি।রক্তে সুগার এর পরিমানে অস্বাভাবিক পার্থক্য দেখে রোগী দিশেহারা হয়ে পড়েেছেন।তৃতীয় বার টেষ্ট করে কুষ্টিয়া ডায়াবেটিস সমিতির রিপোর্ট সঠিক বলে প্রমানিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দুটি টেষ্ট রিপোর্ট পর্যালোচনা ও ভূক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়, শহরের মঙ্গলবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা ও মাইটিভির কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু গত ২৯ অক্টোবর কুষ্টিয়া ডায়াবেটিস সেন্টারে যান ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে। তিনি খালি পেটে ও খবার দুই ঘন্টা পরে রক্ত দেন।এতে খালি পেটে রক্তে সুগারের মাত্রা আসে ৭.৩। খাবার দুই ঘন্টা পর রক্তে সুগারের মাত্রা আসে ১৭.১।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে দুপুরে খাওয়ার পর বিকেলের দিকে আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরবিএস পদ্ধতিতে রক্তে সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করতে দেন। এখানে রক্তে সুগারের মাত্রা আসে ৭.৯৫। এবার ঘাবড়ে যান তিনি। সাহায্য নেন গ্লুকোমিটারের সেখানে রক্তে সুগারের মাত্রা ১৮ আসে।এরপর নিশ্চিত হন রক্তে সুগারের পরিমাণ অত্যধিক বেশি। নিশ্চিত হন চিকিৎসার বিষয়ে।
এবিষয়ে আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকেল সার্ভিসেস কতৃপক্ষের যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কুষ্টিয়ায় সম্প্রতি ভূল টেষ্ট রিপোর্টের জন্য প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্ট ও চিকিৎসকের কমিশন বানিজ্যের কারনে সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা।
শহরের আমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মেডিকেল সার্ভিসেসের ভূল সনো রিপোর্টে মারা যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে ১৩ বছরের একজন কিশোরের।