প্রতারনা করে টাকা আত্মসাৎ
দুদকের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদন্ডসহ অর্থদন্ড
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি\ ২৮,অক্টোবর,২০২১\ কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার প্রতারণা করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুদক কুষ্টিয়া কর্তৃক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫বছর পূর্বে দৌলতপুর থানায় করা মামলায় ৫বছর কারাদন্ড ও ১০লক্ষ্য টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহষ্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলামের আদালত সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত হলেন- দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া কৈপাল গ্রামের বাসিন্দা মৃত: আজগার আলীর ছেলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মূখ্য আ লিক কার্যালয় কুষ্টিয়াতে ব্যাংক পরিদর্শক পদে চাকুরীরত(বর্তমান বরখাস্ত) মো: হাফিজুর রহমান (৫৫)।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হতে ২০১৩সালের ০৩ ফেব্রæয়ারী সময়কালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক দৌলতপুর উপজেলার ডাংমরকা শাখায় কর্মরত থাকাবস্থায় ভুয়া নাম ঠিকানার ব্যক্তির নামে ঋণ ফাইল তৈরী করে তা অনুমোদন পূর্বক ব্যাংক হতে টাকা উত্তোলন এবং পরবর্তীতে কিস্তি আদায়সহ আদায়কৃত ব্যাংকের টাকা নির্ধারিত হিসেবের অনুকুলে জমা না দিয়ে তার আত্মসাত করেন ব্যাংক পরিদর্শক মো: হাফিজুর রহমান। এমন অভিযোগ পেয়ে ২০১৬ সালের ২২নভেম্বর, সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক আব্দুল গাফফার বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলা নং ১৯।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ০৪ জুন আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে প্রায় সাড়ে ৯লক্ষ্য টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে ৪০৯/৪৭৭(ক) পেনাল কোড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্ণীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ এনে আদালতে চার্যশীট দেন দুদকে ওই কর্মকর্তা।
জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতে সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কুষ্টিয়ার কৌশুলী এ্যাড. আল-মুজাহিদ হোসেন জানান, আসামী হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে তিনটি ধারায় যথাক্রমে ৫বছর, ৩বছর এবং ৫বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ ১০লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। উল্লেখ্য আসামীর বিরুদ্ধে ধার্যকৃত সাজা একযোগে প্রযোজ্য হবে। তার মানে আসামী যদি দন্ডিত অর্থ প্রদান না করেন তাহলে সবমিলিয়ে আসামীকে সাজা ভোগ করতে হবে ৬বছর।