মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদ শিরোনাম
দখলবা‌জি-চাঁদাবা‌জি নি‌য়ে কু‌ষ্টিয়া জেলা বিএন‌পির হুঁশিয়ারি কুষ্টিয়ায় হার্টস বাংলার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী কুষ্টিয়ার মিরপুরে ৪৪০ বস্তা অবৈধ সার জব্দ অবৈধ ফিটনেস বিহীন ট্রলির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে অঙ্গহানীর শঙ্কায় -বাসার মিরপুরে স্কুলে অগ্নিসংযোগ ও প্রধান শিক্ষককে হত্যা চেষ্টা মামলায় ০৫ জন পলাতক আসামি গ্রেফতার। নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতা চালাচ্ছে: সাবেক এমপি শহীদুল ইসলাম আমি নেতৃত্ব দিয়েই কুষ্টিয়া থানা ভাঙছি’ এটা আমার আবেগী বক্তব্য -মাজেদ দৌলতপুরের ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক বহিষ্কার শিক্ষক লাঞ্ছিত হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষনা বৈষম্য বিরোধীদের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঘোষণা:
পরিবর্তনের অঙ্গীকারে আপনাকে স্বাগতম। সময়ের বহুল প্রচারিত বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য  ভিন্নধারার নিউজ পোর্টাল "পরিবর্তনের অঙ্গীকার"। অতি অল্প দিনে পাঠক নন্দিত হয়ে উঠেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষে কাজ করছে এক ঝাঁক তরুণ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী। দেশ-বিদেশের সকল খবরাখবর কারেন্ট আপডেট জানাতে দেশের জেলা, উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংবাদ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।  ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত (সি ভি)পাঠাতে হবে। ই-মেইল: khalidsyful@gmail.com , মোবাইল : ০১৮১৫৭১৭০৩৪

টেকনাফ রইক্ষ্যং এ ছৈয়দ, সিরাজ ও বাসেতের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ইয়াবা ছিনতাইয়ের সিন্ডিকেট

কুষ্টিয়া অফিস / ২৭৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০২১, ১০:২৮ অপরাহ্ন

টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড রইক্যং এলাকায় সিরাজের ও বাচেত, ছৈয়দের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে বিশাল ইয়াবা ছিনতাইয়ের সিন্ডিকেট। রইক্যং রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকা হাওয়ায় ইয়াবার ঘাটি হিসাবে পরিচিত। রইক্যং এলাকায় সিরাজ বাহিনীর ও বাচেত গ্রুপের নাম শুনলে সবাই আতঙ্ক ও ভয় পাই। সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজের ও ছৈয়দে সদস্যরা বড়র্গ , মসজিদ রোড় পাড়া পুকুর পাড়ে অবস্থান করে। রোহিঙ্গারা এই পথ দিয়ে চলাচল করে।

রোহিঙ্গারা যখন ইয়াবা বহন করে ক্যাম্পের উদ্দেশ্য নিয়ে যায় তখন তাঁদের আটকিয়ে ইয়াবা ছিনতাই করে সিরাজ, ছৈয়দ, বাসেত। তাঁদের নিজেদের একটি অফিস আছে বলেও শুনা যায়। বেশির ভাগ লেনদেন ও ভাগাভাগি এই অফিসে হয় বলে জানা যায়। গুপন সূত্রে জানা যায় সিরাজ বাহিনীর ২-৩টি দেশীয় অস্ত্র আছে। তবে কত টুকু সত্য তাঁর প্রমান রিপোর্ট তৈরির সময় পাওয়া যায়নি। তবে তাঁরা বেশ বেপরোয়া। সকাল -বিকাল স ছিনতাইয়ের কাজে বেড়িয়ে পড়ে তার বাহিনী। তার বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনিসার্জ এর কাছে। কে এই সিরাজ! সিরাজ ৫বছর আগে কাঁকড়া ফেসিং এর মেনেজ্যার ছিলেন। সেখান বিদেশ পাড়ি দেন। বিদেশ থেকে এসে বেকার ছিল ১বছর। রোহিঙ্গা আসার পর তার ভাগ্য খুলে যায়। রোহিঙ্গাদের সাথে মিশে ইয়াবা ব্যাবসা শুরু করে। সেখানে নিজের চাহিদা পূরন করতে না পেরে নিজেই একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে। যে সিন্ডিকেট ইয়াবা ও স্বর্ণ ছিনতাই করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যায় সিরাজ। বাচেত ইয়াবা ছিনতাইয়ের মূলহুদা। বাচেত ওরফে ছাগল কালু একজন চিহ্নিত কাট চুর।

৩বছর আগেও পাহাড়ের থেকে গাছ কেটে সংসার চলাতেন। অভাবে ছিল তার ঘরে। দুই একবার ছাগর চুরি করায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। সে থেকে তাঁকে ছাগল কালু নামে ডাকে। কিন্তু রোহিঙ্গা আসার পর থেকে রোহিঙ্গা ইসলাম গ্রুপের সাথে হাতমিলিয়ে গড়ে তুলে একটি সিন্ডিকেট। যে সিন্ডিকেট ইয়াবা ছিনতাইয়ের কাজে বেড়িয়ে পড়ে। তাদের নামে কয়েকটি মামলাও হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনকে চোখে ধুলো দিয়ে ঘরে বেড়ায় বাচেত। এখন মটর সাইকেল যুগে একটি বহর নিয়ে ঘুরাফেরা করে। এলাকায় নেতা হিসাবে পরিচিত। ছৈয়দ হোসাইন! ইয়াবার বেশ পুরাতন মাফিয়া। দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আবার ফের বেপরোয়া। জেল থেকে বেরিয়ে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে টাকা দিয়ে পদবী কিনে। যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা কারবার। ছেয়দ হোসেন সিরাজ বাহিনী থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে পরে দেশের চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। জানা যায়, স্থানীয় এক হলুদ সাংবাদিকে টাকা দিয়ে তাঁর অপকর্ম ডেকে দেয়। প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় রইক্ষ্যং এলাকার আনাচে-কানাচে ইয়াবা কারবারিদের বেপরোয়া তৎপরতা বেড়েছে।

বিশেষ করে এলাকার নতুন-পুরনো ইয়াবা ব্যাপারীদের দখলে থাকে বলে এলাকাবাসীর অভিমত। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক পাচারকারী সিন্ডিকেটের ইয়াবা পাচারের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইয়াবা গডফাদারদের সাথে সমন্বয় করে সিরাজ, ছৈয়দ পাচারকারী সিন্ডিকেট বেপরোয়াভাবে ইয়াবা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝে-মধ্যে সোর্সের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাচারকারীকে আটক করলেও মূল ইয়াবা গডফাদার সিরাজ বাহিনী ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। কয়েকদিন আগেও সিরাজ ও ছৈয়দের একটি ইয়াবার চালান কালাস হয় শাপলা পুরে। গয়েন্দা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ফেলে পালিয়ে যায় সিরাজ। ফলে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না ইয়াবা বাণিজ্য। তার ওপর জেল ফেরত ও দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ইয়াবা গডফাদাররা প্রকাশ্যে এসে আবারো ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ভুলু ছদ্মনাম জানান, রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ইয়াবা ও টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় সিরাজ। তাঁদের নামে কেউ মুখ খুললে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। সিজার একজন বেকার ছিল। কিন্তু এখন লাখ টাকার মালিক। যুবলীগ পরিচয় দিয়ে প্রভাবশালী নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে এই কাজ গুলু করে। আরত নামে একটি ব্যাবসার নাম শু করে ইয়াবা ও ছিনতাই করে সিরাজ। তাঁদের ব্যাপারে গোয়েন্দা বাহিনী অবগত আছে। তবে তার বাহিনীর উপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানান।

স্থানীয় সমাজ পরিচলনা কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক। তিনি জানান ছৈয়দ হোসাইন বিভিন্ন মামলার আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। জেল থেকে বেরিয়ে আবারো ইয়াবার সাথে জড়িয়ে পড়ে ছৈয়দ হোসাইন। মাঝেমাঝে রোহিঙ্গা আটকিয়ে মারধর করে ইয়াবা ছিনতাই করে ছৈয়দ। কয়েকদিন আগেও এই রকম একটি ঘটনা ঘটে। গত১৫ তারিখ তাঁদের নামে একটি ইয়াবা ছিনতাইয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেনটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ঘটনাটি দামাচাপা দেয়ার জন্য লাখ টাকার মিশনে নামে ছৈয়দ, সিরাজ, বাচেত। এই বিষয়ে তাঁদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাঁরা বলেন টাকার কাছে সব বন্ধি।

এই ব্যাপারে তাঁরা আর কিছু বলেনি। টেকনাফ থানায় নতুন যোগদান করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরনো চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদারদের ব্যাপারে অবগত না থাকায় তেমন একটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না পুরনো ইয়াবা গডফাদারদের। ফলে দেদারছে চলছে ইয়াবা বাণিজ্য। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টেকনাফের অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, আমি টেকনাফ থানায় যোগদান করার পর থেকে ইয়াবার বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। খেলাধুলায় উপস্থিত থেকে তরুণ সমাজকে উৎসাহিত করে যাচ্ছি।

এছাড়াও বিভিন্ন সভা সেমিনার ও ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত থেকে মাদকের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। শুক্রবার গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলোতে উপস্থিত থেকে জুমার নামাজের পূর্বে মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছি। সর্বোপরি কথা হচ্ছে, স্থানীয় জনগণ সচেতন না হলে পুলিশের একার পক্ষে মাদক বন্ধ করা কঠিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর