সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদ শিরোনাম
ঘোষণা:
পরিবর্তনের অঙ্গীকারে আপনাকে স্বাগতম। সময়ের বহুল প্রচারিত বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য  ভিন্নধারার নিউজ পোর্টাল "পরিবর্তনের অঙ্গীকার"। অতি অল্প দিনে পাঠক নন্দিত হয়ে উঠেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষে কাজ করছে এক ঝাঁক তরুণ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী। দেশ-বিদেশের সকল খবরাখবর কারেন্ট আপডেট জানাতে দেশের জেলা, উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংবাদ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।  ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত (সি ভি)পাঠাতে হবে। ই-মেইল: khalidsyful@gmail.com , মোবাইল : ০১৮১৫৭১৭০৩৪

কুমারখালী মাতৃসদন হাসপাতালে টাকা ছাড়া মেলে না চিকিৎসা

কুষ্টিয়া অফিস // নিজস্ব প্রতিনিধি / ২১৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১, ৯:৪২ অপরাহ্ন

পাপের কাজ করতে তো টাকা লাগবেই’

কুষ্টিয়া কুমারখালী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (মাতৃসদন) হাসপাতালে প: ক: পরিদর্শিকা ফাহমিদা ইয়ামিন (লতা) ও কাজলি রাণী বিশ্বাস । চিকিৎসার নামে অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন কুমারখালী উপজেলা মাতৃসদন হাসপাতাল । নগদ টাকা ছাড়া এখানকার চিকিৎসক ও কর্মচারীরা চিকিৎসা করেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবার বিধান থাকলেও। এখানে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের টাকা দিয়েই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। ন্যায় অন্যায় নেই টাকা হলেই চার- পাঁচ মাস বয়সী বাচ্চা গুলো নষ্ট করছে দ্বিধাচ্ছে হাসপাতালের পরিদর্শিকা রা। পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিসেবা, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, সাধারণ রোগের চিকিৎসা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, রোগ নিরূপণ সেবা কতটুকু পাচ্ছে। উপজেলা বাসী তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই পারে। এছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষারও সুবিধা থাকার কথা এই মাতৃসদনে। চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা নগদ টাকা আদায় করে আসছেন। ওষুধের মূল্য বাবদ এমনকি সরাসরি চিকিৎসকের ফি বাবদ টাকা আদায় করা হয় এখানে। এর বাইরেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকরা মানুষের কাছ থেকে গলাকাটা ফি আদায় করে থাকেন। উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের লালনের অভিযোগ,। আমার স্ত্রী নাসিমার বাচ্চা প্রসবের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরিদর্শিকা কাজল ও লতা, আমার কাছে ৪ হাজার টাকা দাবি করে। আমি গরিব মানুষ আমি ৫ শ’টাকা দিতে গেলে আমার উপর রেগে উঠে লতা। পরে ২৫ শ’টাকা নিয়ে আমাদের ছাড়ে। খোকসা মোড়াগাছা গ্ৰামের ছদ্মনাম আফসানা জানান, অ্যাবরশন বা (MR) করবার বাবদ তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা আদায় করেন। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ছদ্মনাম সেলিনা অভিযোগ করেন, একটি বাচ্চা নষ্ট করতে হলে উপজেলা মাতৃসদন হাসপাতালে গেলে স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা কাজলি ও লতা বাচ্চা নষ্ট করতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নিচ্ছে । একটি গোপন ভিডিও সাক্ষাৎকারে প:ক: কাজলি রাণী বিশ্বাস বলছেন, বাচ্চা নষ্ট করা পাপের কাজ । এই জন্য বেশি টাকা লাগবে। এই বিষয়ে প:ক: পরিদর্শনকা কাজলি রাণী বিশ্বাস জানান, কারো কাছে কোন টাকা- পয়সা চাওয়া হয় নি। ঠাট্টা করে টাকা চাওয়া হয়েছিল। আমাদের এখানে চিকিৎসার জন্য কোন টাকা-পয়সা নেওয়া হয় না। এই বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল বাসার মোঃ আব্দুল মুত্তালেব জানান, টাকা নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার কোন সুযোগ আমাদের নেই। এই ধরনের অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অসাধু আচরন, অবহেলিত সেবা প্রদান, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ নানা কারনে সরকারি এই হাসপাতাটি চিকিৎসা সেবার প্রতি মানুষের গুরুত্ব দিনে দিনে হ্রাস পেতে শুরু করেছে। আর সেই কারণেই উপজেলা জুড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য প্রাইভেট হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ব্যয়ও হচ্ছে প্রচুর অর্থ।তবুও কি মানুষ মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর