কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের মৃত টেঙ্গর আলীর পুত্র আদম ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের খপ্পরে পড়ে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার কালিশংকরপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম সহ প্রায় ১০ টি পরিবার সর্বশান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আমিরুলের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইবি থানার পিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমিরুল আরও জানায় প্রতারক ও আদম ব্যবসায়ী কামাল বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখালে আমি জায়গা জমি বিক্রি করে ২০১৯ সালে তারিখে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা তাকে প্রদান করি। পরবর্তীতে প্রতারক ও আদম ব্যবসায়ী কামালকে খুঁজে না পাওয়ায় অবশেষে ভুক্তভোগী আমিরুল গত ০৮/১১/২০২০ তারিখে কামালের পিয়ারপুর গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের শরণাপন্ন হই। সেখানে কামাল ও আমিরুলের সম্মুখে দুই পক্ষের সমন্বয়ে একটি বৈঠক বসে। উক্ত বৈঠকে পিয়ারপুর গ্রামের দিনাজ মণ্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান, মৃত খেজমত আলীর ছেলে মনজের আলী ও হরিনাকুন্ডু থানার কালিশংকরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোলায়েম হোসেন ও মৃত মতলেব হোসেনের ছেলে আতিয়ার হোসেন সাক্ষী হয়ে ৩০০ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে একটি লিখিত ডকুমেন্ট তৈরি করে দেন। সেই সাথে মধুপুর বাজার শাখার সোনালী ব্যাংকের ১৮৯০ নং হিসাবের ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার একটি চেক আমিরুল ইসলামের নামে স্বাক্ষর করে দেন প্রতারক কামাল হোসেন। উক্ত ডকুমেন্টে উল্লেখ ছিল যে আগামী ০৭/০৫/২০২১ তারিখে আমিরুলের সমস্ত পাওনা টাকা পরিশোধ করতে হবে। উক্ত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আমিরুল আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিবে। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য নির্ধারিত তারিখে কামালের বাড়ির উপর গেলে আমিরুলকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় আদম ব্যবসায়ী কামাল হোসেন। অবশেষে আমিরুল কোন উপায়ান্তর না পেয়ে ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারক কামাল হোসেনের নামে চেক ডিজঅনারের একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে আদম ব্যবসায়ী প্রতারক কামাল হোসেনের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, সে একজন প্রকৃত আদম ব্যবসায়ী ও বড় মাপের প্রতারক। সে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে তার নিজ এলাকায় ও আশপাশের এলাকার প্রায় ১০/১২ জন নিরীহ ব্যক্তিকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা এভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার নিজ এলাকার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। এদিকে ভুক্তভোগী আমিরুল মাননীয় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রতারক কামালের খপ্পরে পড়ে আজ আমি নিঃস্ব সর্বস্বান্ত, আমার প্রদেয় অর্থ পাওয়ার জন্য আপনার শরণাপন্ন হয়েছি। আপনি প্রতারক কামালের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ও সুষ্ঠু বিচার করে আমার পাওনা টাকা আদায় করে দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।