কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কল্যাণপুরে অবস্থিত তাসের ডাকাতের আস্তানা থেকে দু’টি হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন।
৯ জুন বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বন বিভাগের কর্মকর্তারা দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আক্তার ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের সহযোগিতায় হরিণ দুটি উদ্ধার করেন।
বন বিভাগের কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, কল্যাণপুর দরবার শরীফের ভিতরে অবৈধভাবে দুইটা হরিণ লালন পালন করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহযোগিতায় হরিণ দুটি উদ্ধার করি। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১৭ মোতাবেক তাসের ডাকাত ও তার শ্যালক শের খান নামে মামলা হয়। মামলার আসামী তাসের ডাকাতের শ্যালক শের খানকে হাতে নাতে আটক করা দৌলতপুর থানা পু্লিশ এবং ওই দরবারের কথিত পীর তাসের ডাকাত পলাতক রয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, বিকেলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা আমার কাছে সহযোগিতা চাই যে তাসের পীরের দরবারে দুইটা হরিণ অবৈধ ভাবে তারা লালন পালন করছে। আমি সেখানে অফিসার ফোর্স নিয়ে তাদের সহযোগিতায় হরিণ দুটো উদ্ধার করে বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আক্তার জানান, দরবার শরীফের মধ্যে হরিণ আছে সংবাদ দিয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা সেখানে গিয়ে দুটো হরিণ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য গত ৬ জুন তাসের ডাকাতের নেতৃত্বে দরবারে রাশেদ (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়া। ওই ঘটনায় নিহত রাশেদের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে দরবার প্রধান তাসের ডাকাতসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। তাসের সহ বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।