শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১ জুন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে প্রতীকী ফাঁস দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করাসহ ৪ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল, ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেন তারা।চার দফা দাবি হলো- স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী ১ জুন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, স্থগিত ও আটকে থাকার পরীক্ষাগুলো গ্রহণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের দ্রুত ভ্যাকসিন নিশ্চিতকরণ এবং করোনাকালে শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।একই দাবিতে শনিবার শিক্ষার্থীরা ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে জানা গেছে। দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।আন্দোলনকারীরা বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। এতদিনে অনেকের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে পরিবারের হাল ধরার কথা। অথচ আমরা পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছি। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে আমাদের গলায় দড়ি দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।এ সময় প্রধান ফটকের সামনে গলায় দড়ি দিয়ে প্রতীকী ফাঁস নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিন, নইলে গলায় দড়ি দিন’, ‘দাবি মোদের একটাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা চাই’, ‘মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন’, ‘শিক্ষা নিয়ে প্রহসন, মানি না মানবো না’ ‘পরীক্ষা নিয়ে টালবাহানা, মানি না, মানবো না’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন রাজীন, জেরিন, ইতিহাস বিভাগের মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলা বিভাগের শ্যামলী তানজিন অনু, সাথিয়া সাথী, ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের হুমায়রা আঞ্জুম অন্তু, আনারুল ইসয়াল, আলামিন ইসলাম, নির্মল, তানজিরসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী