মোঃ আবুল বাসার( ষ্টাফ রিপোর্টার )
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় আপন দুই ভাইকে গলাকেটে হত্যার রহস্য উদঘাটনে চাকু খুজতে অভয়নগরের ভৈরব নদে নেমেছেন মাগুরা পুলিশের একটি দল।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ভৈরব নদীতে ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দলকে নিয়ে রহস্য উদঘাটনে ১টি চাকু খুজতে নামে পুলিশ। তিন ঘন্টা অভিযান চালিয়েও ১টি দেশিয় অস্ত্র চাকুর সন্ধান মেলেনি। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাগুরার মহম্মদপুর থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক এস আই শেখ সাইফুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, প্রতিবেশি ফারুক শিকদারের ছেলে আশিকুর রহমান গত ৩০-১২-২০২৩ শনিবার রাত ৯টার দিকে সবুজ ও হৃদয়কে ডাব খাওয়ার কথা বলে বাড়ির থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদেরকে বাড়ির থেকে একটু দুরে ইছেমতি বিলের ঢোকচান্দের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে সুবজ ও হৃদয়ের ওপর আশিক ও তার সহযোগীরা অর্তকিত হামলা চালায়। প্রথমে হৃদয়কে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। বিষয়টি দেখে বড় ভাই সবুজ চিৎকার করলে তাকেও গলাকেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় আশিককে গত ০১-০১-২০২৪ সোমবার আটক করে থানা পুলিশ। আটক করার পর আশিক ঘটনাটি প্রথম থেকে শেষ পর্য়ন্ত বিস্তারিত জানান। এরপর মামলার ২নং আসামী হেদায়েতকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভৈরব নদীর ব্রিজ সংলগ্ন নদীতে হত্যায় ব্যবহৃত দেশি অস্ত্র চাকুর কথা উল্যেখ করে। এসময় পুলিশ চাকুটি খুজতে নদীতে নামেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উপ পরিদর্শক এস আই রূপক, অভয়নগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস আই দেলোয়ার।
উল্লেখ্য, আশিকুর ডাব খাওয়ার কথা বলে সবুজ ও হৃদয়কে পানিঘাটা মধ্যপাড়া ঢোকচান্দের মাঠে নিয়ে কয়েকজন মিলে দুই ভাইকে গলা কেটে হত্যা করে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ভোরে খবর পেয়ে পানিঘাটা গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা গ্রামের মঞ্জুর মোল্যার ছেলে সবুজ মোল্যা (৩০) ও তার ছোট ভাই হৃদয় মোল্যা (১৪)। তাদের বড় ভাই কালাম মোল্লা বাদি হয়ে আশিকুর রহমানকে প্রধান আসামি ও আরও ১০ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন।
মহম্মদপুর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক এস আই শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামীর দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোমবার সকালে উপজেলার মশরহাটি ভৈরব ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ভৈরব নদীতে নৌকা যোগে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দলকে নিয়ে রহস্য উদঘাটনে ১টি চাকু খুজতে আসছিলাম। অনেক খোঁজাখুঁজি করে চকু পাওয়া যায়নি।