রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদ শিরোনাম
দৌলতপুরের ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক বহিষ্কার শিক্ষক লাঞ্ছিত হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষনা বৈষম্য বিরোধীদের চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০ আমার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করলে পুলিশে ধরিয়ে দিন -মাজেদ কুমারখালি দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৫ রাতের গভীরে শেখ হাসিনাকে হঠাৎ কোথায় সরিয়ে নিল ভারত আইন উপদেষ্টা: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না দেশের মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার চরম ক্ষোভ ছিল: রিমান্ডে মেনন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী ও রুবেল হত্যার বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের মানববন্ধন কুষ্টিয়া গোস্বামীদুর্গাপুরে ইউপি সদস্যকে কু*পিয়ে হ*ত্যা করেছেন
ঘোষণা:
পরিবর্তনের অঙ্গীকারে আপনাকে স্বাগতম। সময়ের বহুল প্রচারিত বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য  ভিন্নধারার নিউজ পোর্টাল "পরিবর্তনের অঙ্গীকার"। অতি অল্প দিনে পাঠক নন্দিত হয়ে উঠেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের লক্ষে কাজ করছে এক ঝাঁক তরুণ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ সংবাদকর্মী। দেশ-বিদেশের সকল খবরাখবর কারেন্ট আপডেট জানাতে দেশের জেলা, উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংবাদ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে।  ছবিসহ জীবন বৃত্তান্ত (সি ভি)পাঠাতে হবে। ই-মেইল: khalidsyful@gmail.com , মোবাইল : ০১৮১৫৭১৭০৩৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নেকাব না খোলায় এক ছাত্রীর পরীক্ষা নেননি শিক্ষকরা

অঙ্গীকার ডেস্ক / ১৪৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪, ৯:৪৭ অপরাহ্ন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নেকাব না খোলায় এক ছাত্রীর পরীক্ষা নেননি শিক্ষকরা

২১ জানুয়ারি ২০২৪।। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রী নেকাব না খোলায় শিক্ষকরা তার মৌখিক পরীক্ষা নেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ফাইনালের মৌখিক পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর বিভাগটির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় নেকাব পরে অংশ নেন এক ছাত্রী। এসময় মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত শিক্ষকরা তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নেকাব খুলতে বলেন। এসময় তিনি নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রয়োজনে নারী শিক্ষকদের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু পরীক্ষকগণ বোর্ডের সব সদস্যদের সামনে নেকাব খুলতে বলেন। পরে নেকাব না খোলায় তার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান শিক্ষকরা। এ ঘটনার দিন বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগে অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি শিমুল রায়, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উম্মে সালমা লুনা ও বিভাগের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, নেকাব না খোলায় সেদিন অন্য সবার মৌখিক পরীক্ষা নিলেও তারটা নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে নেকাব খুলে ভাইভায় অংশ নিলে আবারও তার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে বলে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে ওই শিক্ষার্থী পুরুষ শিক্ষকদের সামনে নেকাব খুলতে অসম্মতি জানান। ফলে এখন পর্যন্ত তার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে বিভাগীয় শিক্ষক ও ভাইভা বোর্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাকে মৌখিক পরীক্ষায় নেকাব খোলার জন্য অনুরোধ করেছি। তাকে বুজিয়েছি যে, চার বছর পর তুমি এভাবে চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় গেলে রিটেনে ভালো করলেও তোমার চাকরি হবে না। তাতেও সে রাজি হয়নি। তখন আমরা পরীক্ষা কমিটির সভাপতির নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে বের করে দিয়েছি। এরপরে আমরা কয়েক দফায় তার সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু সে তার অবস্থান থেকে ফিরে আসেনি।’

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উম্মে সালমা লুনা বলেন, মৌখিক পরীক্ষার সময় আমরা তাকে বলেছিলাম সে যে আমাদের স্টুডেন্ট, তা প্রমাণ করার জন্য। কিন্তু তিনি তা প্রমাণ করতে পারেননি।

নারী শিক্ষিক দ্বারা পরিচয় নিশ্চিতের ব্যাপারে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে বোর্ডের অন্য শিক্ষকরা অবজেকশন জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘এভাবে করলে আমরা মার্ক দিব না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এই কাজটি উচিৎ হয়নি। আমাদের সামনেও অনেক সময় এ রকম শিক্ষার্থীরা থাকে। আমরা সব সময়ই নারী শিক্ষকদের মাধমে তাদের শনাক্ত করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর