মোঃ আজগার আলীঃসাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে শুকনা মরিচ আমদানি বেড়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দিগুনেরও বেশি আমদানি বেড়েছে পন্যটি।
এদিকে আমদানি বাড়লেও দাম কমছেনা শুকনা মরিচের। গত এক মাসের তুলনায় পন্যটি কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়াতে দাম কমছে না পণ্যটির।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের কাস্টম্স রাজস্ব শাখা থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছে ২২ হাজার ৩০২ টন। যার আমদানি মুল্য ৫৫৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। একই ভাবে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এ বন্দরে শুকনা মরিচ আমদানি হয়েছিলো ১০ হাজার ৬৫৭ টন। যার আমদানি মুল্য ছিলো ২৬৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পন্যটি আমদানি বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৫ টন। যা মোট আমদানির দ্বিগুনেরও বেশি।
ভোমরা বন্দরের মসল্যাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্টান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মোঃ আবু হাসান জানান, দেশীয় অভ্যন্তরীণ বাজারে শুকনা মরিচের বেশি হওয়ায় আমদানি বেড়েছে। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে তার প্রতিষ্ঠানে শুকনা মরিচ আমসদানি বেড়েছে অন্তত দ্বিগুন। তবে আামদানি বাড়লেও দাম কমেনি পণ্যটি। তিনি বলেন, ভারতে সবধরনের মসল্যা পন্যের দাম উর্দ্ধমুখি। ফলে আমদানি খরচও অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা শহরের সর্ববৃহৎ মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের মসল্যা আড়ত মেসার্স শাওন এন্টারপ্রাইজে শুক্রবার শুকনা মরিচ পাইকারী বিক্রি হয় ৫০০ টাকা কেজি দরে। যা এক মাস আগেও ৪৭০ থেকে ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। একই ভাবে খুচরা বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা দরে। এ আড়তের সত্ত্বাধিকারী ফজর আলী জানান, আমদানিকৃত অধিকাংশ মসল্যার দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, শুকনা মরিচ সরবরাহ বাড়লেও আমদানি খরচ বেশি হওয়াতে দাম কমছেনা।
সাতক্ষীরা জেলা মার্কেটিং অফিসার আবু সালেহ মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, জেলা প্রশাসনের সাথে সমম্বয় রেখে বাজার মনিটারিং জোরদার করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য স্বাভাবিক রাখতে সর্বচ্চো চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে শুকনা মরিচসহ অন্যান্য আমদানিকৃত মসল্যার দাম কিছুটা বাড়তির দিকে।