সময়ের সাহসী কর্মীবান্ধব নেতা প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়ায় কর্মীবান্ধব নেতা হিসাবে জনগণের কাছে পরিচিত পেয়েছে কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার। দিন যত যাচ্ছে নির্বাচন ততো সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। তৃণমূলে কাজ করার গতিও ততো বাড়াচ্ছেন এই নেতা।
প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার ১৯৬৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো: রেজাউল হক সরকার ,মাতা জাহানারা খাতুন । কুষ্টিয়া ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারের জন্য তিনি ব্যাপক মসজিদ, মাদ্রাসা ও গোরস্থান, নির্মাণ করেছেন । এ ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য, তিনি কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালযের চেয়ারম্যান হয়ে নিজ খরচে (২০০-৩০০) গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক বিত্তি প্রদান করে থাকেন। তার নিজ উদ্যোগে সামাজিক কার্যক্রমের জন্য গড়ে তুলেছেন সরকার ফাউন্ডেশন , এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে কুষ্টিয়া জেলা কে বেকারত্ব মুক্ত করা ও সামাজিক বিভিন্ন কাজে আর্থিক সহযোগিতা করা। এই সরকার ফাউন্ডেশন গড়ে তোলায় গ্রামের গরীব মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, মহিলারা এখানে হাতের কাজ সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কাজ করে থাকে। মহিলাদের পাশাপাশি গ্রামের বেকার ছেলেদের বেকারত্ব দূরীকরণের মাধ্যমে এই সরকার ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম কুষ্টিয়া জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এর বিস্তার ঘটাচেছ। তিনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কুষ্টিয়ার মানুষের জন্য তার দরজা সব সময় খোলা। তার নিকট থেকে কেউ কখনো খালি হাতে ফেরে না এই জন্য তাকে দাতা হাতেম তাই বলা হয়। তিনি কাউকে নিরাশ করেন না। তার কাছে যাওয়া সকলের অভাব-অভিযোগের কথা গভীরভাবে শোনেন এবং সাধ্যমত ব্যবস্থা নেন। শত ব্যস্ত থাকা সত্বেও তিনি ঢাকা থেকে শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন কুষ্টিয়ার মানুষের টানে বাড়িতে আসেন। তিনি কুষ্টিয়ার বিএনপির খাদের কিনারা থেকে রাজপথে আনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার একজন সফল ব্যবসায়ী তিনি ঢাকাস্থ বিলট্রেড এ্যান্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর, সরকার ষ্টিল লি., সরকার এমওআই লি.ও সরকার কনস্ট্রাকশন লি.-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সরকার লজিস্টিক লি.-এর চেয়্যারম্যান। ঢাকাস্থ কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিলট্রেড স্ট্রাকচার বিডি.এর এমডি, বিলট্রেড ইঞ্জিয়ার লিমিটেড এর এমডি , এনটিভির পরিচালক, বিলট্রেড কালারকোর্ট লি. এর এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ষ্টীল এর ব্যবসার কাযক্রম শুরু করেন,তার প্রতিষ্ঠিত সরকার ষ্টীল লি. বাংলাদেশে বিভিন্ন আবাসন নির্মাণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছেন । তার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাযী প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এই ষ্টীল কোম্পানি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে আস্থা ও সততার সহিত কাজ করায় বিজনেস এশিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১৩ পুরুস্কারে ভূষিত করা হয়। এছাড়াও তিনি উদিয়মান শিল্পপতি ও তরুণ রাজনীতিবীদ হিসেবে ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন পুরুস্কারে তাকে ভূষিত করা হয়। তিনি কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উন্নীত হয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হন সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত পাশ করেন পরে তনি ১৯৯৫ সালে বুয়েট থেকে বিএসসি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। ২০০০ সালে তিনি এমবিএ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি বিশ্বের ভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। ১৯৮৩ সালে দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনীতি জীবন শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি গ্রেফতার হয়ে জেলে যান।
তিনি কুষ্টিয়া বর্তমান জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক। এবং উপজেলা নির্বাচনে তিনি ব্যাপক ভোটে জয় লাভ করেন।২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া -০৩ আসনে বিএনপি থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়।কিন্তু সেই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও রাতে ভোট গ্রহণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রতাখ্যান করেন দলটি।কুষ্টিয়ায় বিএনপি অবস্থান সমৃদ্ধ করতে দিন রাত কাজ করেন এই নেতা।
আমারা পরিবর্তনের অঙ্গীকার টিম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করি-আমরা দেখতে পায় কুষ্টিয়া সদর ০৩ আসনে তার নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। জেলা বিএনপি কমিটি ও মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক উওেজনা রয়েছে কর্মীদের মাঝে। কুষ্টিয়া সদরে দুইটি নেতাকে নিয়ে কর্মীবৃন্দ দুই নেতার অনুসারীতে পরিণত হয়েছে। দেখে যায় কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদল, যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল ও সাবেক ছাএনেতা, পৌর বিএনপির একটি অংশ ও সদর থানা বিএনপির নেতাকর্মী এই নেতার সাথে নানা রকম রাজনৈতিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
অপর দিকে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন ও তার মত নেতাকর্মীের সাথে কাজ করছেন-তার সাথে পৌর বিএনপির একটি অংশ ও সদর উপজেলা বিএনপি ও কিছুসংখ্যক ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নেতাকর্মীদের নিয়ে নানা রকম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিশেষ নজরদারি ও নির্দেশনা থাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচী একসাথে পালন করছেন।
তবে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি রাজনীতিকে নতুন করে আশা জাগাচ্ছেন প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার। তিনি কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি কর্মীরা বলছেন -সামনে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কমিটিতে যদি জাকির সরকারকে সদস্য সচিব এবং সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে আবারও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারবে।