কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) রোকশানা খানম (৫২) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (০৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি ব্লকের ২৮৫ বাসার দ্বিতীয় তলার তার নিজ শয়ন কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রোকশানা খানম একা ঐ বাসায় থাকতেন। তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান যশোর চৌগাছা উপজেলা এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক হিসাবে কর্মরত থাকায় তিনি যশোর থাকতেন।
নিহত রোকসানার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ১৯৯৭ সালে আমাদের বিয়ে হয়। তবে আমাদের কোন সন্তান নেই। তারপরেও আমাদের পারিবারিক কোন কলোহ কিংবা মনোমালিন্য ছিলো না। রোকশানা চাকুরী করতো তাই সে কুষ্টিয়ায় এবং আমি যশোর থাকতাম। গতরাতে তার সাথে আমার কথা হয় যে, সকালে সে বিদ্যালয়ের কাজে যশোর শিক্ষা বোর্ডে যাবে। আমি সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি। পরে ভাতিজা নওরোজ কবির নিশাত আমাকে ফোন দিয়ে বলে ফুপুর রুম ভেতর থেকে আটকানো এবং ডাকলে কোন সাড়া দিচ্ছে না। তারপর তারা দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখে রোকসানা বিছানার উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত হয়ে পড়ে আছে।
রোকসানার ঐ বাসার ৬য় তলায় থাকেন রোকশানার ভায়ের পরিবারের লোকজন। রোকশানার ভাতিজা নিশাত জানান, সকালে ডাক দিলে তিনি কোন উত্তর দিচ্ছিলো না। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। ঘরের মেঝেতেও রক্ত ছিলো।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল জানান, “সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেছে। কি কারণে এ হত্যা কান্ড সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে, ধারারো কোন অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি সাইবার ইউনিট শাখা, গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব, সিআইডি ও পিবিআই কাজ করছে।
পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
উল্লেখ্য কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকায় সিআইডি কার্যালয়ের কাছেই ইতিপূর্বেও নিজ বাসায় এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।