সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া হাইস্কুলের পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পুকুরটির আয়তন প্রায় তিন একর। এদিকে ১৯৯৫ সাল ও ২০১০ সালের পরিবেশ সংরক্ষন আইন অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।
জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও রয়েছে। তবে, অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে অধিদপ্তরের অনুমোদন ক্রমে শর্ত শিথিল করা যেতে পার বলে আইনে উল্লেখ আছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেছেন, পুকুর ভরাট বিষয়ে কুষ্টিয়া হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমতি নেন নি আর অনুমতি দেওয়ারও কোন সুযোগ নেই।বিষয়টি জানলাম।তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে। কুষ্টিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান ভরাটের বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা পুকুর নয়,খেলার মাঠ ভরাট করছি।”
উল্লেখ্য ১৮৬১ সালে সাড়ে ১২ একর জমির উপর গড়ে উঠে কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া হাই স্কুল। ভুমি রেকর্ড বিভাগের সূত্র মতে, সিএস রেকর্ডীয় ৩টি দাগে ১২ দশমিক ৩৫ একর, এসএ রেকর্ডীয় ৪টি দাগে ১০ দশমিক ৭৬ একর এবং সর্বশেষ আরএস খতিয়ান ভুক্ত ১৪টি দাগে ৮ দশমিক ৩ একর জমির ভুমিকর পরিশোধ করে স্কুলটি। তবে বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে বিদ্যালয়টি। বিদ্যমান ভু-সম্পত্তি এখন দুই তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে আশপাশের দখলবাজদের আগ্রাসনে। এছাড়াও স্কুল পরিচালনা কমিটি কর্তৃক যত্র যত্র মার্কেট নির্মাণের ফলে এটি একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।কোটি কোটি টাকার অর্থ বানিজ্য হয়েছে। এতে স্ব স্ত্রীক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ১কোটি ৮ লাখ টাকার ঞ্জাত আয় বহিভূত সম্পদ আহরনের অভিযোগে এ বছরের ৮মার্চ মামলা করেছেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকারিয়া।