কুষ্টিয়া – ঝিনাইদাহ মহাসড়কের ১১মাইল ও কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর এলাকায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪জনের মৃত্যু ও ১৩জন গুরুতর আহত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মৃতদের ৩জন দৌলতপুর উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা সব্জি চাষী অপরজন ট্রাকের হেলপার।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে তিন সব্জিচাষী পাতাকপি বোঝায় করে একটি ভ্যানে রাজবাড়ী অভিমুখে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল আলাউদ্দিন নগরে পৌছালে অভিন্ন অভিমুখী নির্মাণ শ্রমিকদের বহনকারী অপর একটি স্যালো ইঞ্জিন চালিত ভটভটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সব্জি বোঝায় ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এসময় সব্জি বোঝায় ভ্যান ও ভটভটি উল্টে গিয়ে দুমরে মুচরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩জন ভ্যান আরোহীর মৃত্যু হয় এবং শ্রমিক বহনকারী ভটভটি আরোহী গুরুতর আহত ৯জন শ্রমিক এবং ভ্যান আরোহী একজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় রাজবাড়ী থেকে কুষ্টিয়াগামী অপর একটি সিমেন্ট বোঝায় ট্রাক দ্রুতগতিতে চলামান থাকায় দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে থামতে না পেয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাশর্^বর্তী খাদে উল্টে যাওয়ায় এই ট্রাকের চালক ও হেলপার ২জন গুরুতর আহত হয় তাদেরও উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
অপরদিকে সোমবার ভোররাতের কোন এক সময়ে কুষ্টিয়া ঝিনাইদাহ মহাসড়কের ১১মাইল নামক স্থানে ঝিনাইদাহ অভিমুখী একটি থেকে থাকা ট্রাকের পিছন দিক থেকে অপর একটি দ্রুতগতি ট্রাক ধাক্কা দিলে থেমে থাকা ট্রাকের হেলপার ট্রাক থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ইদ্রিস আলী জানান, ‘সংবাদ পেয়ে পৃথক দুটি ঘটনাস্থল মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপতালের মর্গে প্রেরন করেছে হাইওয়ে পুলিশ।’ তবে আহত নিহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহসহ তাদের সনাক্তের কাজ করছে পুলিশ বলেও জানালে এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মৃতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার শশীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা বারিক দফাদারের ছেলে গাফ্ফার (৩৮), আজিল প্রামানিকের ছেলে সানোয়ার (৪০) এবং জাহিদ (৩২)। এরা সবাই সব্জিবোঝায় ভ্যানের আরোহী।
কেএসসি/পিবি