কুষ্টিয়ার খোকসা থানার মটরসাইকেল চালককে হত্যা ও ছিনতাই দায়ে ফজলু, ও মজিবর সেখ নামের দুজনের আমৃত্যু এবং খুশি বেগম ওরফে ফলসী নামের এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালহত। রবিবার দুপুর দেড়টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১এর বচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্Í দুই আসামীর অনুপস্থিতি এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নারী আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন। রায়ে প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে ফজলু (৪৪) ও রাজবাড়ি জেলার বেলগাছী গ্রামের বাসিন্দা মো: মজিবর সেখ (৩৬)আমৃত্যু এবং খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা মজনু সেখের স্ত্রী খুশি বেগম (৫৪)।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৬জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বাসিন্দা সজিবদ্দিন সেখের ছেলে ভাড়াটিয়া মটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম ওরফে লতিফ (৩০) অন্যান্য দিনের মতো বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। এই ঘটনার পরদিন ১৭জুলাই ২০১৩ তারিখের দুপুরে খোকসা উপজেলার উত্তরশ্যামপুর গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে বিবস্ত্র ও মস্তক নিহীন দেহ উদ্ধার করে খোকসা থানা পুলিশ। পরে নিহতের পরিবারের লোকজন নিহতের শরীরে উল্লেখযোগ্য কিছু চিহ্ন ধরে লাশটি ভাড়ায় মটর সাইকেল চালক নজরুল ইসলাম লতিফের বলে সনাক্ত করে।
পরিকল্পিত ভাবে মটর সাইকেল ছিনতাইসহ নজরুল ইসলাম লতিফকে হত্যা করে লাশ গুম চেষ্টার অভিযোগ এনে নিহতের বড় ভাই বিল্লাল সেখ বাদি হয়ে তিনজনের নামোল্লেখসহ মামলা দায়ের করেন খোকসা থানায়।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩০জুন এই হত্যা কান্ডে জড়িত হিসেবে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ৪জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দালি করেন খোকসা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক জহিরুল হক।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, অপহরণ মটর সাইকেল ছিনতাই হত্যা ও লাশ গুম চেষ্টায় জড়িত বলে আনীত অভিযোগ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে এক নারীসহ তিন আসামীর বিরুদ্ধে সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় দুইজনের আমৃত্যু এবং খুশি বেগম নামে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২০হাজার টাকা করে অর্থ দন্ডাদেশ অনাদায়ে আরও ১বছরের সাজার দন্ডাদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
কেএসসি/এইচএ