কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নতুন কমিটি জন্য উদগ্রীব কর্মীরা,যে কোন সময় আসতে পারে ঘোষণা।
নতুন নেতৃত্ব কি পারবে? কুষ্টিয়ার বিএনপির ঘাঁটি খ্যাত হারানো ঐতিহ্য ফিরে আনতে রাজপথ দখল নিতে?নাকি যে লাউ সেই কদু হয়ে থাকবে?
২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত কুষ্টিয়া ছিল মূলত বিএনপির ঘাঁটি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও কুষ্টিয়ার সবগুলো আসন পায় বিএনপি। এছাড়া অন্যসব নির্বাচনে এখানে বিএনপি তাদের আধিপত্য বজায় রাখে। তবে গত ১৪ বছরে বিএনপি তার সেই তেজি ভাব ধীরে ধীরে এখন কাঁদায় পড়ে গেছে। সেখান থেকে টেনে তোলার চেষ্টায় কেন্দ্রীয় বিএনপি।
দলীয় সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির মেয়াদ পার হয়েছে অনেক আগে। ইতোমধ্যে অনেকে দল ছেড়ে চলে গেছে। মেয়াদ পার হওয়া এই কমিটির মধ্যে আরও রয়েছে দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ,প্রতিহিংসা ও গ্রুপিং।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে সামনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলন সংগ্রাম বেগবান ও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষে তৃণমূলকে ভেঙে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের নির্দেশনা প্রদান করেন।এরই ধারাবাহিকতায় সারা বাংলেদেশের প্রায় ৬০-এর অধিক জেলা কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করে আহ্বায়ক কমিটির কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন।এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নতুন কমিটির কাজও প্রায় শেষের দিকে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে কুষ্টিয়া ৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক জনাব মাহবুব উল আলম হানিফ নৌকা প্রতিকে কুষ্টিয়া( সদর-৩)সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবগুলো আসনে জয়ী হয় আওয়ামিলীগ। এরপর থেকেই আরও ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ে রাজপথ থেকে পার্টি অফিস ও ঘরমূখী কর্মসূচি পালন করে দলটি।বিচ্ছিন্ন কিছু কর্মসূচি ও ঝঁটিকা মিছিল ছাড়া তেমন রাজপথে বড় কর্মসূচি পালন করতে পারেননি দলটির নেতাকর্মীবৃন্দ।তবে অনেক বছর পর কুষ্টিয়া বিএনপির পার্টি অফিসে একটি বড় সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয় এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে আশার আলো দেখা যায়।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কুষ্টিয়া জেলার সাংগঠনিক দূর্বলতা নিয়ে ভীষণ ভাবে চিন্তিত কেন্দ্রীয় বিএনপি।এই পরিস্থিতির কারণ ও তার থেকে উওোরণের জন্য তারা সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন কিছু নেতার কর্মকাণ্ডের – দলটির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান । এবং আগামী ২২ শে আগষ্ট থেকে দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রার্থীদের উপস্থিত থেকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার নির্দেশশনা দেন।এবং কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের জন্য শামসুজ্জামান দুদুকে- খুলনা বিভাগের দায়িত্ব দেন।
এই কর্মসূচি ট্রাম্প কার্ড হতে পারে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব হওয়ার ক্ষেত্রে।
যে কোন সময়েই ঘোষণা আসতে পারে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি নতুন আহ্বায়ক কমিটি -দলটির সামনে আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদে বর্তমানে চারজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
১.বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও (খোকসা -কুমারখালী-৪)আসনের সাবেক এমপিও বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি। ২.কেন্দ্রীয় বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও( কুষ্টিয়া -৩) সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। ৩.কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের পরিশ্রমী ছাত্রনেতা, সাবেক সভাপতি ও কুষ্টিয়া শহর বিএনপির সভাপতি- কুতুব উদ্দীন। ৪.সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী -প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারের।
বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের মধ্যে কমিটি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে ও রাজনৈতিক আড্ডায় মিশ্রপ্রতিক্রয়া লক্ষ করা যায়। কুষ্টিয়ার বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেছেন “পরিবর্তনের অঙ্গীকার” টিম-তারা বলেন-বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলার রাজনীতি এখন দুইটি মেরুতে বিভক্ত।তারা মনে করেন কুষ্টিয়ার রাজপথের রাজনীতির গতি হারানোর অন্যতম কারণ হলো নিজেদের মধ্যেই সমন্বয়হীনতা।এছাড়াও তারা বলেছেন আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিংসার মাধ্যমে জেলহাজতে আটকে রেখেছেন তার অন্যতম উদাহরণ -কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রাব্বি ও শহর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অস্ত্র মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এবং আমরা কোন সমাবেশ করতে চাইলে প্রশাসন বাঁধা দেন।এবং বিভিন্ন সময় আমরা হামলার স্বীকার। তারা অভিযোগ করেন ছাএলীগের ও যুবলীগের নেতৃত্বে আমাদের পার্টি অফিসে বার বার হামলা চালায়।এবং দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলার চালায়।
তবে আমরা মনে করি -কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি কমিটি হলেই কুষ্টিয়া জেলার রাজনীতির গতি ফিরবে সকল বিভেদ এর অবসান ঘটবে। সকলে একসাথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে কঠোর প্রতিবাদে এই সরকারে পতন ঘটবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন।
কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল হাকিম মাসুদ বলেন-কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কমিটি হলেই কুষ্টিয়ার রাজনীতির পরিবর্তন হবে।আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত এবং কর্মসূচি ঘোষণা করবেন আমরা দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই নিশীরাতের ভোটচোর সরকারকে পতন ঘটনার আগমূহুর্ত পর্যন্ত রাজপথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল রাজপথে আছে থাকবে।
কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের সভাপতি আল আমিন রানা বলেন-কুষ্টিয়ার মাটি বিএনপির ঘাটি দল যাকে সঠিক মনে করবেন আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিব।আমরা জাতীয়তাবাদী যুবদল জেলা বিএনপি সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের জন্য সবসময় প্রস্তুত আছি।
প্রতিবেদক-এম/আর/আই