কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ানম্যান হাজী মো. আলী হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি সড়কের গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর গাছ কর্তনে যেন কেউ বাঁধা প্রদান না করে, সেকাজের দেখাশোনার দাঁয়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকাদ্দেস হোসেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙা বিলপাড়া সড়কের অন্তত ৬ টি মেহগুনি গাছ কর্তন করা হয়। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। কর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে ওই সড়কের প্রায় লক্ষ টাকা মূল্যের আরো ৮ টি মেহগুনি গাছ।
মঙ্গলবার দুপুরে রায়ডাঙা বিলপাড়া গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন শ্রমিক সকড়ের গাছ কর্তন করছেন। অন্তত ৬ টি মাঝারি আকারের মেহগুনি গাছ কর্তন করা হয়েছে। দাঁড়িয়ে আছে আরো ৮ টি গাছ। পর্যায় ক্রমে সেগুলো কর্তন করা হবে।
এবিষয়ে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নং সদস্য (মেম্বর) শাহিন আলী বলেন, গাছ কাঁটার খবর শুনে লোক পাঠিয়ে জানতে পারি চেয়ানম্যান সাহেব গাছ কাঁটছে। পরে চেয়ারম্যান কে ফোন দিই। ফোনে চেয়ারম্যান বলেন সড়কের পরিষদের ভাগের অংশের গাছ কাঁটা হচ্ছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘ চেয়ারম্যান সাহেব অবৈধ ভাবে সড়কের গাছ কাঁটছে। প্রতিটি গাছের মূল্য হবে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর আওয়ামী লীগ নেতা মো. আকাদ্দেশ একাজের দেখাশোনা করছেন। ‘
এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকাদ্দেস বলেন, ‘ চেয়ারম্যানের নির্দেশে গাছ কাঁটা হচ্ছে। কেউ যেন গাছ কাঁটায় বাঁধা প্রদান না করে, আমি শুধু সেবিষয় দেখাশোনা করছি।’
গাছ কর্তনের বিষয় স্বীকার করে চেয়ারম্যান হাজী মো. আলী হোসেন বলেন, ‘ ভুল করে গাছ কাঁটার অনুমতি দিয়েছি। নিয়ম জানতাম না। আমার ভুল হয়েছে। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘ সড়কের গাছ কর্তনের খবর পেয়েছি। গাছ গুলো জব্দ করা হচ্ছে। তদন্ত স্বাপক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমএইচ/কেএসসি