চেয়ারম্যানের নির্দেশে সেনা সদস্যর স্ত্রীকে বিয়ের কাবিন দিচ্ছেনা কাজী এমনই অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নে। বিয়ের কাবিন পেতে সেনা সদস্যর স্ত্রী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসে কুষ্টিয়া সদরের সিদ্দিকের ছেলে সেনা সদস্য বিপ্লব হোসেনের সাথে কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর পপির আপত্তিকর অবস্থায় ধরে এলাকাবাসী তাদেরকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে স্থানীয় রেজাউল কাজীর মাধ্যমে বিয়ে দেয়। এই ঘটনার ৬ মাসের মাথায় বিপ্লব তার প্রথম স্ত্রীর পাশের বাড়ির আব্দুল খালেকের মেয়ে রিম্পা খাতুনকে বিয়ে করে এবং প্রথম স্ত্রী পপির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পপি বিভিন্নভাবে তার স্বামীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিয়ের কাবিন নিতে রেজাউল কাজীর কাছে গেলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে পপি স্থানীয় যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কাছে গিয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী পপি জানান, তার সুখের সংসার ছিলো বিপ্লব তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথম স্বামীকে তালাক দেওয়ায়। সে বাবার বাড়িতে আসার পর বিপ্লব ছুটিতে বাড়িতে আসে এবং রাতের আঁধারে একাধিক দিন মিলিত হবার এক পর্যায়ে এলাকাবাসী তাদেরকে হাতেনাতে ধরে বিয়ে দেয়। তিনি আরো জানান, রেজাউল কাজী প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছেন তিনি এই বিয়ে পড়াননি এবং ছেলে ও মেয়ে কাউকে চিনেননা তার সিল ও সই নকল করে বিয়ে পড়ানো হয়েছে। অথচ বিয়ে পড়ানোর ভিডিও তার কাছে সংরক্ষিত আছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রেজাউল কাজী প্রথম পর্যায়ে বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে জানান ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে। চেয়ারম্যানের নিষেধের কারণে কাবিননামা দেওয়া হয়নি। সেনা সদস্যর পরিবারের সাথে মোটা অংকের লেনদেন হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি জানতে যদুবয়রা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে একাধিকবার মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, বিয়ের কাবিন কাজীর কাছে চেয়ে পাচ্ছেননা এমন অভিযোগ সম্বলিত দরখাস্ত পেয়েছি। শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। শুনানির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।