কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সালাম হত্যা! বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা-লুটপাট চলছে। দৌলতপুরে জাতীয় যুব জোটের নেতা মাহাবুব সোবহান সালাম নিহত হবার পর নিহতের লাশ নিয়ে মিছিল করার সময় মিছিল থেকে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমদহ গ্রামে আসমা খাতুনের বাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা অনধিকার প্রবেশ করে গৃহাভ্যন্তরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও ক্ষতি সাধন করে। অভিযোপত্র অনুযায়ী জানা যায়, ঘটনার সাথে জড়িত বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ আসামীরা বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙে ফেলে ও বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অগ্নিকান্ডে বাংলাদেশী মূদ্রা পুড়ে যায় এতে সরকারি ক্ষতি ও ব্যক্তিগত পারিবারিক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
অভিযোগকারী আসমা খাতুন সংবাদমাধ্যমকে জানান, রেফ্রিজারেটর, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, ষ্টিলের আলমারি, ওয়ারড্রব, শোকেস, ড্রেসিং টেবিল ভাঙচুর করে আনুমানিক ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে দুষ্কৃতকারীরা। এছাড়া, ২টি মোটর এবং স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ২ টি মোবাইল ফোন সেট লুট করে নিয়ে যায়।
গত ১২/০৫/২০২২ খ্রিঃ তারিখ বিকাল ৪.০০ ঘটিকা থেকে প্রায় আধাঘন্টা উক্ত আগ্রাসন বা তান্ডব চলে।
ভেড়ামারা সার্কেলের এডিশনাল এসপি ইয়াছির আরাফাত ও দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবির হাসান ঘটনাস্থলে যান
গত ১১ তারিখ রাতে দৌলতপুরের আমদহে সন্ত্রাসী হামলায় নির্মভাবে খুন হন। জাতীয় যুব জোট নেতা সালাম খুন হওয়ায় দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলে। সচেতন সমাজ উক্ত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান ও প্রতিবাদ করেন। দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি ওঠে। সবাই সালাম হত্যার বিচারের সুষ্ঠু বিচার হোক এটা চায়। কিন্তু বিচারকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করৎে মহল বিশেষের বিশেষ তৎপরতা চোখে পড়ে। এইসকল অপতৎপরতার অংশ হিসেবে আয়শা খাতুনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ সহ উপরোক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে বক্তব্য নিরপেক্ষ সাক্ষীদের।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবিদ হাসান জানান, ঘটনারটির বিষয়ে অবগত আছেন। প্রযোজনীয় অনুসন্ধান শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।