ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গৃহবধূ গণ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যসহ দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদি হয়ে ইউপি সদস্যসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ২৪ ঘন্টা পার না হতেই দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার ২ নং আসামী বর্তমান মেম্বর পলাতক রয়েছে। আটককৃতরা হলেন-উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে লিটু (২৮) ও বসির হোসেনের ছেলে শিমুল (৩০)। গতকাল রাত ৩টার দিকে বাগুটিয়া এমপির মোড় এলাকায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শৈলকুপা থানার ওসি (তদন্ত) মহসীন হোসেন এর নের্তৃত্বে এস আই আমির হোসেন, এস আই শিহাব উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।মামলার বাদী শাহবাজপুর গ্রামের সলেমান আগামী নিউজকে জানান, তিনি তার স্ত্রী কে নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে বাসা ভাড়া থাকতেন। গত ২৭ তারিখ বিকালে তার স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়ীতে আসার জন্য বাসা থেকে বের হয়। রাস্তায় স্ত্রীর নিজ গ্রামের প্রতিবেশী লিটুর সাথে দেখা হলে লিটু বলে, আমার সাথে চলো আমি তোমাকে বাড়ীতে পৌছে দিব। এরপর আমার স্ত্রী মোটরসাইকেল এ উঠলে বিভিন্ন রাস্তা ঘুড়িয়ে সময় ক্ষাপন করে রাত বাধিয়ে ফেলে। তারপর লিটু তার সহযোগী শিমুল ও ৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বর গোপালপুর গ্রামের রাশিদুল ইসলাম কে ফোনে ডেকে নেয়। পরে আমার স্ত্রী কে দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের পশ্চিম মাঠে সাইড ক্যানেলের মাথায় কলা ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ধর্ষকরা আমার স্ত্রী কে বলে একথা কাউকে না বলতে, বললে তোকে মেরে ফেলবো। তখন আমার স্ত্রী বলে আমি কাউকে বলবো না তবে আমি আর বাবার বাড়ীতে যাবোনা আমাকে ঝিনাইদহ বাসায় ফিরিয়ে দিতে হবে। এরপর লিটু ও শিমুল মোটরসাইকেল যোগে আমার স্ত্রী কে মাঝে বসিয়ে ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্পের পাশে ভাড়া বাসার সামনে ছেড়ে দেয়। আমার স্ত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং পুরা ঘটনা আমাকে খুলে বললে আমি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। সোমবার রাতে আমি বাদী হয়ে থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম আগামী নিউজকে জানান, ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমরা ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকি একজন পলাতক রয়েছে তাকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।