কুষ্টিয়া ভেড়ামারা থানার একটি হত্যা মামলায় তিন সহোদর, পিতা-কন্যা অপর এক নারীসহ ৫জনের কারাদন্ডাদেশ আদালতের
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় নারী ঘটিত ঘটনার জেরে রায়হান নামে এক যুবক হত্যায় আপন ৩ সহোদর, পিতা-কন্যাসহ মোট ৫জনের মধ্যে এক নারীর আমৃত্যু, অপর নারীসহ তিন পুরুষের যাবজ্জীন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে প্রত্যেকের ২০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১বছরের সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুর ১২ টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুৃল ইসলামের আদালতে ৫ আসামীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ন আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন।
আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত হলেন- দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামর মৃত: জলিল সরকারের ছেলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মান্নান(৬১)র কন্যা শিখা খাতুন(২৮), যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মান্নান সরকারের দুই সহোদর সাধু সরকার(৪৮) ও বজলু সরকার(৫৮) এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর নারী হলেন ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ গ্রামের রাজন বিশ^াসের কণ্যা আজমিরা খাতুন(২৬)। এছাড়া এমামলার চার্যশীটভুক্ত আসামী সাহাজুল সর্দার, রাজন ও উজির আলীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ০৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা মীর শহিদুল ইসলামের ছেলে রায়হান(২৬) মোবাইল ফোনের কল পেয়ে বাড়ি হতে বেড়িয়ে রাতে আর ফিরে আসে না। পরদিন ০৭অক্টোবর দুপুরে উপজেলারর পালপড়া মাঠের একটি পানের বরজের পাশ থেকে যুবক রায়হানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। এঘটনায় নিহতের পিতা মীর শহিদুল ইসলাম ০৯অক্টোবর বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন ভেড়ামারা থানায়।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ডিসেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে নারীর ঘটিত ঘটনার জেরে অপহ্রণ হত্যা ও লাশ গুম চেষ্টার অভিযোগ এনে ৮জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন ভেড়ামারা থানা পুলিশ পরিদর্শক আননুর যায়েদ।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ভেড়ামার থানার রায়হান নামের যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ৮আসামীর মধ্যে ৫জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের মধ্যে এক নারীকে আমৃত্যু করাদন্ড ছাড়াও আরও ৪জনের যাবজ্জীবন সাজা এবং প্রত্যেকের ২০টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছরের সাজাভোগ করতে হবে বলে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে বলা হয়েছে।