নাটকীয় অভিযান খোকসার ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায়
নাটকীয় অভিযান করে সমলোচনার মুখে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এমন একটি ঘটনা ঘটে। গুড় তৈরির কারখানায় ভেজাল বিরোধী অভিযান চালায় খোকসা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা। আখের গুড়ে থাকছে চিনি আটা, হাইড্রোজ, ফিটকারি, সোডা, চুন,ডালডাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে রাত-দিন তৈরি হচ্ছে ভেজাল আখের গুড়।
খবর পেয়ে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার খোকসা ইউনিয়নের মোড়াগাছা গ্রামে এমনই একটি কারখানায় অভিযানে যান খোকসা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ইসাহক আলী। ইসহাক আলী খোকসা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন।
কারখানাটিতে ভেজাল গুড় তৈরির সরঞ্জামসহ একাধিক প্রমাণ মিললেও কারখানা মালিক শরিফুল ইসলামকে নামমাত্র ২০হাজার টাকা জরিমানা ও ভেজাল গুড় তৈরি কারখানায় মজুতকৃত আখের গুড়ের শত শত পাটারি মজুত রেখেই লোক দেখাতে মাত্র ৪টি গুড়ের পাটারি নষ্ট করেন। শত শত গুড়ের পাটারি মজুত রেখে ৪টি গুড়ের পাটারি নষ্ট করতেও পাশে থাকা লোকজনকে ছবি তুলতেও এই কর্মকর্তা
উচ্চস্বরে কথা বলছে এমন চিত্রও দেখা গেছে। শুধু তাই নয়,ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে এই কর্মকর্তা আড়ালে কারখানা মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার গোপনে কথা বলার দৃশ্যও দেখা গেছে।
এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ এই নিউজের প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষণ রয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে একজন কর্মকর্তার এমন নাটকীয়তা জনমনে নানান প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে উপজেলা এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমলোচনাও।
এ ব্যাপারে খোকসা উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ইসহাক আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,অভিযানের নামে কোনো নাটক করা হয়নি। ঘটনাস্থলে আসেন দেখে যান বলে কলটি কেটে দেন তিনি।
এদিকে মুঠোফোনে ভূমি কর্মকর্তার
বক্তব্য নেওয়ার পরই দ্বিতীয় দফায় আবারও ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানায় মজুতকৃত গুড় ধ্বংস করেছেন তিনি। এমনটি কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে।