কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় ৮জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ জরিমানা আদেশ আদালতের
কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার ফিরোজ আহমেদ কাজল(২৮) নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা মামলায় ৮জনের যাবজ্জীবন সাজাসহ প্রত্যেকের ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১বছরের সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহষ্পতিবার দুপুর আড়াই টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আতিরিক্ত আদালত-১এর বিচারক তাজুৃল ইসলামের আদালতে ৫ আসামীর উপস্থিতিতে জনাকীর্ন আদালতে এই রায় ঘোষনা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার কলিকাাপুর গ্রামের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেনে ছেলে ১. মাসুদ (পলাতক), ছের আলীর ছেলে ২.সিদ্দিক, বড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নরুল ইসলামের ছেলে ৩. মাসুম মোল্লা (পলাতক), গাংনী উপজেলার হারাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আজগর আলীর ছেলে ৪. গিয়াস উদ্দিন ও মৃত: শের আলী মোল্লার ছেলে ৫. মেসকাত আলী মোল্লা, দৌলতপুর উপজেলার সালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহম্মাদ বিশ^াসের ছেলে ৬. সোহেল রানা ও কামাল হোসেনের ছেলে ৭. ওয়াসিম রেজা (পলাতক) এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস এলাকার বাসিন্দা মৃত লালন সেখের ছেলে ৮. জাকির হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১২ জুলাই বিকেলে মিরপুর উপজেলা বাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ফিরোজ আহমেদ কাজল(২৮) মটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি হইতে ভেড়ামারা যাওয়ার পথে নিঁখোজ হন। এরপর দুইদিন ধরে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে কল করে পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। কিন্তু পরবর্তী সময় হতে অদ্যবধি ফিরোজ আহমেদ কাজলের জিবিত অথবা মৃত কোন সন্ধান না পাইয়া নিখোঁজ কাজলের পিতা বাদি হয়ে মিরপুর থানায় মুক্তিপন দাবি করা বিভিন্ন কয়েকটি মোবাইল নম্বর উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও মুক্তিপন বা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৪ আগষ্ট অপহ্রণ ও মুক্তিপন দাবির অভিযোগ এনে ১১জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মিরপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আলীম।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, অনেক দেরিতে হলেও মিরপুর থানার কাজল নামের যুবককে অপহরণ ও মুক্তিপন না পেয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ৮আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সাজাসহ জরিমানা আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। ধার্যকৃত জরিমানার অর্থ পরিশোধ ব্যর্থ হলে প্রত্যেকে অতিরিক্ত আরও এক বছর করে সাজা ভোগ করতে হবে। তবে এই মামলার যে সব আসামীদের সাজা দেয়া হয়েছে তাদের সবগুলির বিরুদ্ধে গত ২১মার্চ বিজ্ঞ আদালত দৌলতপুর থানার চা ল্যকর ট্রিপল মার্ডারের দায়ে বিভিন্ন দন্ডের আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। আজ বৃহষ্পতিবার ও গত সোমবারের রায়ের সময় যারা পলাতক ছিলেন সেসব আসামীরা আজও রায় ঘোষনার সময় পলাতক ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এদের কেউ কেউ হয়ত পুলিশ বা র্যাবের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে থাকতে পারেন।