কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নে সতন্ত্র প্রার্থী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নে সতন্ত্র প্রার্থী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা। ইউনিয়নের দোস্তপাড়া ক্লাব মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু ফকির, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় আবারও সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
মঙ্গলবার ( ২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বটতৈল ইউনিয়নের দোস্তপাড়া ক্লাব মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে আওয়ামী লীগের
বলেনলম বলেন, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে।
আহত মিন্টু ফকির এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়াই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এর পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার পর আহত মিজানুর রহমানের কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে প্রায় দুই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোমিন মণ্ডলের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বেলা তিনটার দিকে ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মিন্টু ফকিরের সর্মথকরা অভিযোগ করে বলেন, সংঘর্ষের সময় মোমিন মন্ডলের সমর্থকরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। চেয়ারম্যান প্রার্থী মিন্টু ফকিরের কয়েকশ’ সমর্থক লাঠি সোটা নিয়ে কুষ্টিয়া- চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় মিন্টু ফকিরের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার পর যান চলাচল শুরু হয়। উক্ত সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এ বিষয়ে জানার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোমিন মণ্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
এই ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান জানান, ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দোস্তপাড়া ক্লাব মোড় এলাকায় বেশ কিছু চেয়ার ভাংচুর ও ভাংচুর অবস্থায় ১৫/২০ মটরসাইকেল পড়ে আছে। এ ছাড়াও এলাকার বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জানালার গ্লাস ভাংচুর করা হয়েছে। যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে।