করোনার হটস্পট খ্যাত কুষ্টিয়া জেলায় এবার প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের নাম তরিকুল বারী বকুল (৩৫)। বর্তমানে তাঁকে কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ২ নং মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বকুল দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের আমদহ গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে এবং আমদহ বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: এম এ মোমেন জেলায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার সময় হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তরিকুল বারী বকুলের মা আছিয়া খাতুন জানান, গত ৭ দিন আগে তাঁর ছেলে বকুল জ্বরে আক্রান্ত হন। জ্বরের সাথে মাথা এবং শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে বকুল ওষুধ সেবন করতে থাকেন। কিন্তু শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে গত ৮ আগষ্ট ডেঙ্গু পরীক্ষা করালে তাঁর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরবর্তীতে আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য সোমবার (৯ আগষ্ট) কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারী ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে পুনরায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করলে সেখানেও তাঁর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের কর্তব্যরত ইন্টার্নী চিকিৎসক ডা: আতিক রব্বানী জানান, সোমবার দুপুর ৩ টা ১০ মিনিটের সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত তরিকুল বারী বকুলকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
তিনি জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করার পর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রাও কমে গেছে। তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন। বর্তমানে তিনি শঙ্কা মুক্ত। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনার মত ডেঙ্গু রোগ যেন জেলায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। কুষ্টিয়া পৌর এলাকা ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু রোগ নিয়ে মানুষ-জনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।