মাদক ও পর্নগ্রাফির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ঢাকাই শোবিজের বেশ কয়েকজন মডেল ও অভিনেত্রী ইতোমধ্যে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন। সেই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলেন আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ। বুধবার (৪ আগস্ট) তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়।
এদিকে আরও ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রীর ওপর র্যাবের বিশেষ নজরদারি রয়েছে বলে গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। সেই তালিকায় আছেন চিত্রনায়িকা আঁচল, শিরিন শিলা, মডেল অহনা, মৃদুলা ও বিতর্কিত মডেল নায়লা নাঈমসহ অনেকে।
শোনা যায়, ক্যাসিনো কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা আরমানের বান্ধবী ছিলেন চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। এরপর আরেক নেতা সম্রাটের সঙ্গেও নাকি তার সখ্য গড়ে ওঠে। এমনকি সিঙ্গাপুর থেকে মূল্যবান গহনা এনেও শিলাকে দিয়েছিলেন।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্দেহজনক এসব মডেল-নায়িকা কড়া নজরদারিতে রয়েছেন। যেকোনো সময় তাদেরকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
এদিকে শুধু নায়িকা বা নারী মডেল নন, কয়েকজন কথিত নায়কও আছেন সন্দেহভাজনের তালিকায়। তার মধ্যে একজনের নাম হাসান। যিনি বছর দশেক আগেই সিনেমা থেকে দূরে সরে গেছেন। তবে গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ পর্নগ্রাফির মাধ্যমে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন।
এ প্রসঙ্গে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম বলেছেন, ‘পরীমণি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকালের দিকে পরীমণির বাসায় হাজির হন র্যাব সদস্যরা। এ সময় দরজা না খুলে তিনি ফেসবুক লাইভে আসেন এবং জানান, অজ্ঞাত কেউ তার দরজায় কড়া নাড়ছে। তিনি অনিরাপদ বোধ করছেন। প্রশাসন এবং পরিচিতজনদের দ্রুত তার বাসায় যাওয়ারও অনুরোধ জানান পরী।কিছুক্ষণ পর পরীমণি যখন নিশ্চিত হন যে, আগত ব্যক্তিরা মূলত র্যাবের সদস্য। তখন তিনি দরজা খোলেন। এরপর তার বাসায় তল্লাশি অভিযান চলে এবং তাতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। সন্ধ্যার পর তাকে র্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।