যৌন হয়রানির বিচার ২ লক্ষ টাকা জরিমানার করলেন চেয়ারম্যান।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা বটতৈল ইউনিয়নের দোস্ত পাড়ায় ঘরে ঢুকে এক প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সাত্তার কবিরাজ (৪৮)নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার কবুরহাট ৭ নং ওয়ার্ডের দোস্ত পাড়া গ্রামের বাসিন্দার। ঘটনার পর গ্রাম সালিশে তাকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিবন্ধীর স্ত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন গ্রামের চেয়ারম্যানসহ মাতব্বরা। গ্রাম্য শালিসে এত টাকা জরিমানা করার কোন নিয়ম নেই চেয়ারম্যান ও মাতব্বররা কিভাবে রায় দিলেন সাধারণ জনগণের প্রশ্ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,প্রতিবন্ধীর স্ত্রী কবিরাজ আব্দুস সাত্তার এর কাছে চিকিৎসা নিতেন।বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার ঘরে ঢুকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি চাপা থাকলেও ঘটনার তিনদিন পর এলাকায় জানাজানি হয়।
বিষয়টি নিয়ে গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় গ্রাম্য সালিশে আব্দুস সাত্তারে শাস্তি হিসেবে ২ লক্ষ টাকা ও কবিরাজি করতেও নিষেধ করা হয়েছে বলে সালিশে চেয়ারম্যান সহ মাতব্বররা রায় দেন।এক মাসের মধ্যে জরিমানার দুই লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হবে আব্দুস সাত্তারকে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান বলেন সকলের যৌথ উদ্যোগে গ্রামের সালিশ বৈঠক হয়। সালিশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ,ইয়াকুব,বিল্লাল ব্যাপারী,আলমগীর হোসেন,আলিম সহ স্থানীয় মন্ডল মাতব্বর। সালিশে উপস্থিত সবার সিদ্ধান্তে ২ লক্ষ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি কিছু জানিনা সব জানে চেয়ারম্যান ও ইয়াকুব বৈঠকে আমি নিজেও উপস্থিত ছিলাম,এ ঘটনা তেমন কিছু বিষয় না। আমিসহ গ্রামের সকল মাতব্বরদের সিদ্ধান্তে ঘটনাটি আপস করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মোমিন মন্ডল এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জানি আমি সেখানে গিয়েছিলাম রায় হওয়ার আগে চলে এসেছি সেখানে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ও ইয়াকুব রায় দিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা জরিমানা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন রাতে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শালিসি বৈঠকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে চেয়ারম্যান আমাকে ও এই গ্রামের কবিরাজি করতেও নিষেধ করা হয়েছে। আম