কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্কুল ছাত্রীর হত্যার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার ১
কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকা তরুণীকে ডেকে ভূট্টা ক্ষেতে চাকু দিয়ে হত্যা করে কিশোর প্রেমিক। বুধবার মামলা করার চার ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ব্রিফিং করেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার এই হত্যাকাণ্ডকে লোমহর্ষক উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনায় তদন্তের জন্য শীর্ষ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করেন। আলামত জব্দ করা হয়, বিশেষ করে যে চাকু দিয়ে হত্যা করে সেটিও জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনে ঘটনার পর থেকেই অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপন নামে একমাত্র আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের বিষয়টি স্বীকার করে বলে আপন ফাতেমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন ফাতেমা। বিয়ের চাপ সৃষ্টি করে বলেন বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করে আমার নাম কাগজে লিখে যাবে,এই বলে হুমকি দেই প্রতিনিয়ত, বিয়ের বিষয়ে আমার বাড়ীর লোকজন রাজী না হওয়াতে মাথায় চিন্তা আসে তাকে মেরে ফেলার, ফাতেমাকে ১৩ জুলাই রাত আটটায় ফোন দেয় আপন, সাড়ে আটটায় আবার ফোন দেই, শেষে রাত পনে দুইটায় আবার ফোন করে ফাতেমার বাহিরে আসা নিশ্চিত করে সে , রাতের অন্ধকারে বাসা থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ভাটার রাস্তার দিকে যেতেই ভাটার পাহাড়াদার মানুষের আলামত পেয়ে টর্চ লাইটের আলো মারলে আমরা ভুট্টা ক্ষেতের দিকে চলে যায়। ফাতেমা কে বলি মাইক্রো গাড়ি আসবে আমরা চলে যাবো, তখন ফাতেমা কে বলি তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে, ফাতেমা বলে কি সারপ্রাইজ দাও, তখন বলি চোখ বন্ধ করতে হবে, তখন ফাতেমার ওড়না দিয়ে চোখ বেধে দেই,তারপর পকেটে থাকা চাকু দিয়ে বুকে পেটে মারতে থাকি, এরপর ফাতেমা চিৎকার করে উপুড় হয়ে পড়ে যায়, পিঠের উপর দুই পা রেখে পকেটে থাকা সূতলি দিয়ে গলায় ফাঁশ দেই, শরিরের যেখানে নড়ে সেখানে চাকু দিয়ে আঘাত করি এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে আসি। দুই খন্ড হওয়া চাকু বাঁশঝাড়ের মধ্যে ফেলেদি, পরে বাড়িতে এসে ওড়না পুড়িয়ে ফেলি বলে তিনি জানান।গ্রেফতারকৃত আপন কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার ১ ওয়ার্ডের রং মিস্ত্রি মিলনের ছেলে আমলা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী সে। গতকাল বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের ভাঙ্গা বটতলার কাছে একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে ফাতেমা নামে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ফাতেমা উপজেলার বডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন ।
পুলিশ বলেছে, এখন পর্যন্ত ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি, তবে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।
তথ্য সংগ্রহীত