বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আবারও সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে। রবিবার (১১ জুলাই) রাতে প্রিজন সেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার (১২ জুলাই) সকালে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হৃদস্পন্দন দ্রুত ও অনিয়মিত হওয়ায় ডাক্তাররা দ্রুত তাকে সিসিইউতে ভর্তি করেন। বর্তমানে গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে বিএসএমএমইউ’র একাধিক ডাক্তার জানিয়েছে।
বিএসএমএমইউর পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের আগে থেকে হার্টের সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।’
জানা গেছে, এর আগেও দীর্ঘদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। কিছুদিন আগে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে রাখা হয়। রবিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে সিসিইউতে আনা হয়। এদিকে সম্রাটের পরিবারের দাবি, আজ থেকে প্রায় ২১ বছর আগে ওপেন হার্ট সার্জারি ও ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয় সম্রাটের।
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঢাকার রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে আরও দুটি মামলা করা হয় তার বিরুদ্ধে। পরে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতির মামলাও হয়।