অর্থনৈতিক সংকটের ভেতর করোনা মোকাবিলার ব্যর্থতায় একাকার নরেন্দ্র মোদি এখন তার মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ভারতের একাধিক গণমাধ্যম।
ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস শুক্রবার জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রদবদল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর এবার বড় আকারে বদল হতে পারে।
ইতিমধ্যে কিছু রাজ্য থেকে বিজেপি নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যেমন আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তিনি দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তীর্থ সিং রাওয়াতকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হতে পারে। মাত্র চার মাস আগে তাকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি লোকসভার সাংসদ। নিয়মানুসারে ছয় মাসের মধ্যে তাকে বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে।
বেশ কয়েকটি রাজ্যে কিছু বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঝুলে আছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন করাবে কি না, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। দুই মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হলে রাওয়াত মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন। না হলে তাকে সরতে হবে। এই অবস্থায় তাকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে উপনির্বাচন হলে এবং তাতে জিতলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকতেই পারেন।
রাওয়াতের সঙ্গে অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কথা হয়েছে। তারপর তিনি উত্তরাখণ্ড ফিরে গেছেন। উত্তরাখণ্ডের অজয় ভাট বা অনিল বালুনিও কেন্দ্রে মন্ত্রী হতে পারেন।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি যোগ দেয়ার সময় তাকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। এবার সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হতে পারে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলও এবার মন্ত্রিসভায় আসতে পারে। তবে তিনি সংযুক্ত জনতা দলের থেকে দুইজনকে মন্ত্রিসভায় পাঠাতে চান।
বর্তমানে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় ৫৩ জন আছেন। আইন অনুযায়ী, আরো ২৮ জনকে নিতে পারবেন তিনি ।