কুষ্টিয়ায় করোনাভাইরাস সংক্রমন ও মৃত্যুর হার ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে ১৬৪ জন ও মৃত্যু বরণ করেছেন ১২ জন। এ নিয়ে মোট করোনা রোগী সনাক্তের সংখ্যা ৬৩৩৯ জন এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৫২ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার।
এরমধ্যে শুক্রবার রাতে ৭ জন ও শনিবার ৫ জনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন বানিয়াপাড়ার আকমল হোসেন (৮৫), হরিশংকরপুরের রোজিনা খাতুন (৮৫), হাউজিং এর রওশন আরা ( ৬০), দৌলতপুরের রজিনা খাতুন (৬৫) ও কাওছার (৮০), মিরপুরের সাইরা খাতুন (৭০), জুগিয়ার সেফালি খাতুন (৫০), কুমারখালীর করিমুজ্জামান (২৮), খোকসার রফিক শেখ (৬৫) ও ভেড়ামারার আমিরোন (৬৫), খোকসার হবিবার খান (৬০) ও ভেড়ামারার রহিমা খাতুন (৫৫)।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনের তথ্যতমে ৫৪৯ জনের করোনা পরীক্ষা করে ২৯.৮৭% আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাক্তার আনোয়ারুল করিম।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে ২৬৪ টি এবং এন্টিজেন টেস্ট ২০২ টি নমুনার মধ্যে যথাক্রমে ১৩৬ টি এবং ২৮ টি পজিটিভ এসেছে।
উপজেলা ভিত্তিক রিপোর্টে কুষ্টিয়া সদরে ১০০ জন, কুমারখালী ২৪ জন, দৌলতপুরে ১৬ জন, ভেড়ামারায় ১৩ জন, মিরপুর উপজেলায় ০৭ জন ও খোকসায় ০৪ জন পজিটিভ এসেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওর্য়াডে সিট খালি নেই।
এদিকে কুষ্টিয়ায় করোনা সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌর এলাকায় আবারো ৭ দিনের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন জেলা প্রশাসক।
কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কুষ্টিয়া পৌর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, চৌড়হাস, মোল্লাতেঘরিয়া, কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু, বড় বাজার, লাহিনী বটতলা সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ প্রশাসন দায়িত্ব পালন করছেন। শহরে ঢোকার প্রবেশ মুখে সড়কে বাঁশ বেঁধে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন।
নিজের ও পরিবারের জীবন বাঁচাতে করোনা থেকে মুক্তিপেতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহারে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
করোনা সংক্রমন রোধে কুষ্টিয়া শহরে ৭ দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন জেলা প্রশাসন। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোরভাবে কাজ করছেন পুলিশ প্রশাসন।