খুলনার পাইকগাছা উপজেলা সদরের শাপলা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের রোগীর অবহেলার অভিযোগে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিকটিন সীলগালা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৯ জুন) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে এ দ্বন্ড দেয়া হয় শাপলা ক্লিনিক মালিক তাপস কুমার মন্ডলকে।
এর আগে সকলে ভুল চিকিৎসায় ৭ বছর বয়সী এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ স্বজনদের। শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। শিশু মোঃ আবু সুফিয়ান দাকোপের গড়খালী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, পাইকগাছার শাপলা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে রোগীর প্রতি অবহেলার অভিযোগে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিকটি সীলগালা করা হয়েছে।
শিশুটির পিতা আব্দুস সালাম অভিযোগ করে বলেন, পেটে ব্যাথ্যার সমস্যা নিয়ে ছেলেকে এনিয়ে এসেছিলাম এখানে। ডাক্তার বললেন, অ্যাপেন্ডিস হইছে। অপারেশন করতে হবে। ছেলেকে অপারেশন করার জন্য শক্রবার সকাল ৯টায় ভর্তি করাইছি। বিকেল ৫টার দিকে ডাঃ ফারুক এসে অপারেশন করেন আমার আবু সুফিয়ানকে। অপারেশনের পরে আর আমার ছেলের হুশ (জ্ঞান) ফেরে নাই।
তিনি আরও বলেন, আজ ভোর রাতেও তার হুশ (চেতনা) না ফেরাই আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। পরে ক্লিনিকের চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা তাড়াহুড়া করে খুলনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তৎক্ষনিক ছেলেটি মারা যায়। তবুই তারা খুলনায় পাঠানোর জন্য মৃত শিশুকে গাড়িতে তুলে দেবার চেষ্টা করে। এসময়ে পাইকগাছা বাজারের লােকজন তা ঠিক পেয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে বাঁধা দেয়। পরে আমরা মৃত সন্তান নিয়ে ক্লিনিকের পাশে অবস্থান করছি। তাদের ভুল চিকিৎসায় আমার ছেলে মৃত্যু হয়েছে। আমি এর বিচার চাই, বলে আর্তনাৎ করতে থাকেন শিশুটির পিতা আব্দুস সালাম।
এসব বিষয়ে জানতে শাপলা ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারী তাপস কুমার মন্ডলের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পাইকগাছা থানার তদন্ত পরিদর্শক সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে।