এফ এম আবদুর রহমান মাসুম
/ ১২২
বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম :
বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১, ২:৩৫ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন
পর্দার আড়ালে থাকা ঠিকাদার চক্রের কুৎসিত রূপ উন্মোচন করা গেলেও এখনও তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা যায়নি
হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ব্যবহৃত পর্দার অস্বাভাবিক মূল্য দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার কথা কি মনে আছে? আইসিইউ না থাকার পরও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য এক সেট পর্দার দাম দেখানো হয়েছিল ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়।
আলোচিত ওই ঘটনার নেপথ্যের কুশীলবদের ধরতে মাঠে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে তিন চিকিৎসকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়। পর্দার আড়ালে থাকা ঠিকাদার চক্রের কুৎসিত রূপ উন্মোচন করা গেলেও এখনও তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা যায়নি। কারণ, মামলা দায়েরের পর পার হয়েছে প্রায় দুই বছর। এরপরও তদন্তকাজ শেষ করতে পারেনি দুদক। অভিযোগপত্রও (চার্জশিট) জমা দেওয়া হয়নি আদালতে। এ অবস্থায় ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। প্রশ্ন উঠেছে, আলোচিত ‘পর্দাকাণ্ডের’ কুশীলবরা কি পর্দার আড়ালেই থেকে যাবেন?
মামলা দায়েরের পর পার হয়েছে প্রায় দুই বছর। এরপরও তদন্তকাজ শেষ করতে পারেনি দুদক। অভিযোগপত্রও (চার্জশিট) জমা দেওয়া হয়নি আদালতে। এ অবস্থায় ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। প্রশ্ন উঠেছে, আলোচিত ‘পর্দাকাণ্ডের’ কুশীলবরা কি পর্দার আড়ালেই থেকে যাবেন
এদিকে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্রয় সংক্রান্ত আরও বেশকিছু অভিযোগ থাকলেও সে বিষয়ে নতুন কোনো মামলা হয়নি। যদিও দুদকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনা মহামারির কারণে মূলত অনুসন্ধান ও তদন্তকাজের গতি কমেছে। তদন্ত শেষ হলে আরও মামলা দায়েরেরও প্রস্তুতি রয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটির।
এ বিষয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে শুরু থেকেই গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে দুদক। এ কারণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা দায়ের হয়। তবে করোনার কারণে তদন্তকাজ একটু ধীরগতিতে চলছে।
‘মহামারির সময় হাসপাতালের সেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে কারণে একটু ধীরগতিতে এগোচ্ছি আমরা। কারণ, মামলার আসামির সংখ্যা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে হাসপাতালের বেশকিছু চিকিৎসক ও কর্মকর্তা চার্জশিটভুক্ত আসামি হতে পারেন। করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আরও মামলা হতে পারে। এছাড়া দায়ের করা মামলার চার্জশিটও দ্রুত দেয়া হবে। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজ থেমে নেই। করোনা মহামারির কারণে সার্বিক কাজের গতি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারপরও যথা সময়ে অনুসন্ধান ও তদন্তকাজ শেষ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’