পিপি হলেন ফ্রিডম পার্টির সাবেক নেতা খন্দকার সিরাজ সমালোনার ঝড় কুষ্টিয়ায়।
কুষ্টিয়া জেলার নতুন পাবলিক প্রসিকিউটর হলেন খন্দকার সিরাজুল ইসলাম। কুষ্টিয়ার মানুষের মাধ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া, সাবেক ফ্রিডম পার্টির নেতা ও সাবেক সভাপতি মিরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টি (এরশাদ)।
খন্দকার সিরাজুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলা অঞ্চলের তৎকালীন ফ্রিডম পার্টির সক্রিয় নেতা ছিলেন এছাড়া তিনি ফ্রিডম পার্টি থেকে কুড়াল মার্কা প্রতিকে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কুড়াল মার্কা প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ২৩৫।
কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টি (এরশাদ ) দলের সভাপতি ছিলেন ২০০৪ -২০১১ সাল পর্যন্ত
এছাড়াও তিনি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা পরিষদের ২০০৯ সালের ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) দলের মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন।সেই নির্বাচনে চাকা মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন তার প্রাপ্ত ভোট- ২৭৬ তিনি জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন কি তা এখনো অজানা। তবে তিনি সময়ের পট পরিবর্তনের সাথে তিনি বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে ভালো সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন দীর্ঘদীন।
গত ৩০/১০/২০২৪ সুপ্রিম কোর্টর সারকে কুষ্টিয়া জেলার পিপি,জিপি,এপিপির তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা প্রকাশের পর থেকে কুষ্টিয়া জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রজনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি
আব্দুল হাকিম মাসুদ বলেন- কুষ্টিয়া জেলায় নতুন পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ হয়েছে তা দেখতে পেরেছি তবে আমরা আশাহত। দীর্ঘদিন যাবৎ যারা দলীয় মামলা পরিচালনা করেছেন তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।
বকুল আলী বলেন- দীর্ঘদিন যাবৎ সিনিয়র আইনজিবী আব্দুল মজিদ, এ্যাড.অপু ও নূরুল ইসলাম নুরুল দলীয় মামলা পরিচালনা ও আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছে এদের মধ্যে পিপি নির্বাচিত হলে সঠিক মূল্যায়ন হতো।কিন্তু ফ্রিডম পার্টি ও পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের গৃহপালিত দল জাতীয়পার্টি করা ব্যাক্তিকে নির্বাচিত করায় আমরা আশাহত।