অবৈধ ফিটনেস বিহীন ট্রলির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে অঙ্গহানীর শঙ্কায় -বাসার
এলাকাবাসীর দাবী অবৈধ বালি উওোলন ও ট্রলি চলাচল বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে অবৈধভাবে অবাধে চলছে শত শত অবৈধ ট্রলি। ইটভাটা ও ইট-বালু ব্যবসায়ীদের মালিকানায় এবং অবৈধ বালু মহলে চলছে এসব অবৈধ যান। মাটি ও বালু পরিবহনকারী এসব ট্রলির বেপরোয়া চলাচলে দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ জীবন এবং অঙ্গ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ । এসব ট্রলি যেখানে-সেখানে রাস্তা থেকে বালু ফেলার জায়গায় ওঠানামার কারণে অল্প সময়ে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট।এবং ক্ষতি হচ্ছে শত কোটি ব্যায়ের হরিপুর ব্রীজ। পাশাপাশি কম বয়সী চালকদের হাতে চলছে এসব পরিবহন।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা না থাকায় এই ইউনিয়নে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা চলছে এই অবৈধ পরিবহন। এসবের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গত ২১.০৯.২০২৪ তারিখে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বোয়ালদাহ চিরকুমার মোড় এলাকার এলাকার আজিজুল ড্রাইভারের ছেলে বাশার (২৮) সকাল ৯.০০ ঘটিকার সময় নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার সময় হরিপুর -কুষ্টিয়া সংযোগ সেতুর শহর অংশে আদ্ব-দ্বীন হাসপাতালের সামনে ট্রলি ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয়।আহত বাশারকে স্হানীয় জনগণ দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব যান তৈরি হয় মূলত হালচাষের জন্য। দেশে অসাধু লোকজন হালচাষের ট্রাক্টরে বডি লাগিয়ে পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করছে। অথচ বাংলাদেশ মোটরযান আইনে পাকা রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের তালিকায় এসব পরিবহনের কোনো অস্তিত্ব নেই। সরকার শুধু কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য এসব যান আমদানির অনুমতি দিয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটার মালিক এবং কাঠ, পাথর, মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে এই ট্রলির ব্যবহার করে আসছেন।
বাংলাদেশে ব্যাটারিচালিত হালকা যানবাহনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স লাগলেও কৃষি ক্ষেত্রে ট্রাক্টর কিংবা এর চালকের কোনো লাইসেন্স লাগে না। এ সুযোগে এলাকার শিশু কিংবা কিশোরেরাও অদক্ষ হওয়া সত্ত্বেও এসব ট্রাক্টর অবাধে চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। ফলে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় প্রতিদিন শত শত অবৈধ ট্রলি বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে অবাধে চলাচল করছে। বিকট শব্দে রাতের বেলাও ঘুমানো দায়। ফলে পথচারীসহ জনসাধারণকে সার্বক্ষণিক আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। সড়কে চলাচলের অনুপযোগী এসব পরিবহনের কারণে কমছে রাস্তার স্থায়িত্ব।
অপর দিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই ট্রাক্টর থেকে পড়ে যাওয়া মাটি পিচ্ছিল হয়ে রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। বালু পরিবহনের সময় ওপর দিকটা খোলা থাকায় বালু উড়ে এসে পথচারীদের চোখে পড়ে সমস্যার সৃষ্টি করছে।
এদিকে সরকার প্রায় এক দশক আগে সারা দেশে রাস্তায় চলাচলকারী পরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত সব ধরনের ট্রলি বা ট্রাক্টরকে অবৈধ ঘোষণা করে। এসব যান আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের এ নির্দেশনার বাস্তবায়ন চান এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের দাবি, উপজেলা প্রশাসন যেন রাস্তাঘাট ও জনস্বার্থে ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি অবৈধ এসব পরিবহন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এসব পরিবহন বেপরোয়া চলাচলের কারণে রাস্তায় প্রচণ্ড ধুলাবালি ওড়ে। স্কুলগামী শিশুসহ বয়স্ক মানুষের নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশি আশঙ্কা থাকে।
আহত বাশারের বউ বলেন- আমার স্বামী বর্তমানপ ঢাকা কল্যাণপুর ট্রমা সেন্টারে ভর্তি আছে।আমার স্বামীর অবস্থা খুবই খারাপ। তার বাম হাতের ক্ষত খুবই গুরুতর হাতটি অবশেষে ঠিক হবে কি সন্দেহ আছে। আমি খুব দ্রত মামলা দায়ের করব।এবং ট্রলির ড্রাইভারকে আইনের আওতায় এনে দ্রত গ্রেফতারের দাবী করছি এবং হরিপুর এই অবৈধ ট্রলি চলাচল বন্ধের দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে প্রশাসন বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এসব যানের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসব যান চলাচল বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে রাস্তায় এসব অবৈধ পরিবহন দেখলেই যেন আটক করা হয়। পাশাপাশি এসব অবৈধ পরিবহনের মালিককেও রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিতে বলা হয়েছে। অচিরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: মো: হাসান আলী
প্রধান উপদেষ্টা: মোঃ ওবাইদুর রহমান
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: খালিদ সাইফুল
নির্বাহী সম্পাদক: রাশিদুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক: মিজানুর রহমান
বার্তা সম্পাদক: আব্দুল কাদের
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: লাল মোহাম্মদ সড়ক, হাটশ হরিপুর নদীরকুল, কুষ্টিয়া-৭০০০।
মোবাইল : ০১৮১৫-৭১৭০৩৪ । ইমেইল : khalidsyful@gmail.com ।
ই-পেপার কপি