নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার বা নাম ব্যবহার করে কোন শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটালে তার দায় নেবে না বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এমন ঘটনা কেউ ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলারও ঘোষনা দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা সমন্বয়কবৃন্দ। বৃহষ্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষনা দেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলার সমন্বয়ক মো: রাজিজুল ইসলাম জানান, গত ০৫ আগষ্টের পর কিছু স্বার্থন্বেষী মহল আমাদের নাম ও ব্যানার ব্যবহার করে কিছু বিশৃংখল বে-আইনী করছে বলে আমরা শুনছি। এক্ষেত্রে আমাদের সুস্পষ্ট ঘোষনা ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর নাম ব্যবহার করে কোন ভাবেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের মর্যাদাহানি বা লাি তের ঘটনা ঘটানো যাবে না’।
কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সমন্বয়ক রেজা হাসান বলেন, ‘কেন্দ্রে থেকে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যে এই সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কোন ছাত্র শিক্ষকের উপর হামলা বা লাি ত করলে আমরা সম্মিলিত ভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো’।
জেলা শাখার অপর সমন্বয়ক মৃদুল ইসলাম বলেন, ‘একদল স্বার্থন্বেষী মহল হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে’। কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়। এক্ষেত্রে কোন ভাবেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ আইনকে হাতে তুলে নেবে না’।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের এক ছাত্র নেতা প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্যোস্যাল মিডিয়ায় কলেজের প্রিন্সিপ্যাল স্যারের বিরুদ্ধে নানবিধ গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি কলেজের কতিপয় শিক্ষক হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ঝোপ বুঝে কোপ বসাতে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে চাইছে। আমরা এই নোংড়া শিক্ষক রাজনীতির কৌশল বুঝতে পেরেছি। আমরা এখন আর তাদের কথায় নাচবো না। বরং এজাতীয় নোংড়ামী থেকে ওইসব স্যারদের বেড়িয়ে আসার অনুরোধ করছি’। নাহলে এর পরিনাম খুব একটা ভালো হবেনা’।
উল্লেখ্য জেলার সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া সরকারী কলেজে অতি সম্প্রতি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন প্রফেসর শিশির কুমার রায়। তিনি এর আগে কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিগত সরকার আমলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে অতিথি হিসেবে যোগদিয়ে তৎকালীন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বক্তব্য রাখেন। একটি কুচক্রী মহল ওই সব ভিডিও কাটপিস করে এবং ছবি ব্যবহার করে স্যোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত বলে অভিযোগ উঠে। এঘটনায় উদ্ভুত একটা ভীতিকর পরিস্থিতিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।