তপন দাস,নীলফামারী প্রতিনিধি:একে একে চলে গেলো ৫ টা দিন তবুও দেখা মিললো না সূর্যের ফলে চরম দূচিন্তা ও দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন যাপন করছে উত্তরের জনপদ, নীলফামারীর খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো ।
এই জেলা হিমালয় পর্বতের খুব কাছে হওয়ায় প্রতিবছরেই শীতের সময় বিশেষ করে জানুয়ারীর মাঝা মাঝি থেকে ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে খুব কষ্টে দিন যাপন করে ।
জেলার কয়েকটি অঞ্চল ঘুরে দেখা যায় শীত নিবারনের জন্য নিম্ন আয়ের মানুষেরা বাড়ির উঠানে খড় কুঠো জালিয়ে নিচ্ছে একটু উষ্ণতা । এবিষয়ে নীলফামারীর পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ভবন বাজার এলাকায় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান টানা ৫ দিন ধরে সূর্যের কোন দেখা মিলেনি যার কারণে আমরা চরম দারিদ্রতার মধ্যে জীবন যাপন করতেছি, কাজে যেতে পারছি না , কেউ কাজে ও নিচ্ছে না।
এদিকে উক্ত এলাকার মুদি দোকানি শংকর রায় বলেন শীতের কারণে আমরা দোকানে কোন বেচা কেনা করতে পারছি , কাষ্টমার বাজারে আসতে পারছে না শীতের, এদিকে নীলফামারীর ডুলিয়া বাজার এলাকার ট্রাক চালক দিলীপ কুমার রায় বলেন এই তীব্র শীতে আমরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেড়াতে পারছি না আর গাড়ি নিয়ে বেড়ালেও ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের কারন কনকনে শীত আর হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় আমরা গাড়ির স্টাডিং সঠিক ভাবে ধরতে পারি না , আর রাত ৮ বাজলে ঘন কুয়াশার কারনে রাস্তা দেখতে পারি না ।
এছাড়াও নটখানা এলাকার কয়েকজন বলেন এই তীব্র শীত আর হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় আমরা খুবেই নাজেহাল হয়ে পড়েছি আমরা খুব দূচিন্তায় দিন পার করছি, বিশেষ করে শিশু বাচ্চা এবং বয়স্কদের নিয়ে ।
এইঠান্ডায় তাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে সর্দি কাশি সহ নানান ধরনের রোগ । এবং এখন পর্যন্ত আমাদের কে কেউ কোন প্রকার সাহায্য সহায়তা হাত বাড়িয়ে দেয় নি বিশেষ করে শীত নিবারনের জন্য শীত বস্ত্র।
এবিষয়ে পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম তালুকদার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিচিভ করেনি।
এদিকে নীলফামারীর ডিমলা আবহাওয়া অফিস এর পরিচালক আব্দুর সবুর এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন এই ঘন কুয়াশা এবং শৈত্য প্রবাহ আরো ৩থেকে ৪ দিন অব্যহত থাকবে এর পরে কিছু টা ভালো হবে এবং আজকে নীলফামারীর ডিমলা আবহাওয়া অফিসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া অফিস আজকের তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা কয়েক দিনের চেয়ে রেকর্ড তাপমাত্রা আজকে।
এদিকে নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা ( ইউএনও) এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছি এবং আরো কয়েকটি জায়গায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হবে।