অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আচরণ বিধি লংঘনের অপরাধ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সংসদীয় আসন-৭৫, কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ট্রাক প্রতীকের রেজাউল হক চৌধুরী ও তার নির্বাচনী এজেন্ট বুলবুল আহমেদ টোকন চৌধুরীর নেতৃত্বে আ:কা:ম: সরওয়ার জাহান এমপির নৌকা প্রতিকের ৫টি ইউনিয়নের নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙ্গার স্বাক্ষ্য শুনানী হয় সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি প্রধানের কার্যালয়ে। এসময় অভিযোগকারীগনের স্বাক্ষ্য গ্রহনকালে জানা যায়, তারা কেউই ওইসব অভিযোগ করেননি বা সেবিষয়ে কিছুই জানেন না।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, ‘শান্তিপূর্ন নির্বাচনি পরিবেশকে ব্যহত করতে পারে কারো বিরুদ্ধে অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। এজাতীয় ঘটনায় কার্যত: প্রতিপক্ষের সাথে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে উস্কে দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা।
আদালত পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘গত ২৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে সংসদীয় আসন-৭৫ কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বিভিন্ন সময় ও স্থানে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এমন কথা উল্লেকখ করে অভিন্ন ভাষায় লেখা ৫টি অভিযোগ সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর জমাদেন নৌকা প্রতীকের সমর্থক দুই ইউপি সদস্যসহ ৫জন অভিযোগকারী। মঙ্গলবার বিকেলে অভিন্ন ভাষায় লেখা ওই অভিযোগগুলি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি প্রধান কুষ্টিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহা: আসাফ-উদ-দৌলা এর কার্যালয়ে অভিয্গোকারীরা স্ব-শরীরে হাজির হয়ে স্বাক্ষ্য শুনানী করেন। এসময় অভিযোগকারীরা অনুসন্ধান কমিটিকে জানান, তারা কেউই এই অভিযোগ করেননি বা এসংক্রন্ত কোন ঘটনার কথাও জানেন না, এখানে যে সব স্বাক্ষর করেছেন সেগুলিও তাদের করা নয়, কে বা কারা এই অভিযোগ করেছেন তাও জানেন না। এসব লিখিত অভিযোগে যাদের স্বাক্ষর রয়েছে তারা হলেন- দৌলতপুর উজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মহির মেম্বর, চিলমারি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কুটু মেম্বর, দক্ষিন গরুড়া গ্রামের বাসিন্দা তাহাজ্জুত হোসেনে ছেলে জয়নাল আবেদীন, পূর্ব ফিলিপনগর গ্রামের মৃত: মুল্লুক মন্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম এবং ঝাউদিয়া গ্রামের নাজির আহমেদের ছেলে পলাশ।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আ:কা:ম: সরওয়ার জাহান বাদশা এমপির মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এসএমএস প্রেরণ করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে তার নির্বাচনী এজেন্ট শায়খ আল জাহান শুভ্র মুঠোফোনে আলাপকালে প্রতিবেদককে জানান, এধরনের ভৌতিক অভিযোগের বিষয়ে কোন তথ্য আমার জানা নাই’।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরীর নির্বাচনী এজেন্ট বুলবুল আহমেদ চৌধুরী টোকন বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল বা হয়রানি করতেই এজাতীয় উদ্ভট ও অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক দেয়া হচ্ছে’।