দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গঠিত নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সংসদীয় আসন-৭৭, কুষ্টিয়া-৩ অ লের শো-কজ নোটিশপ্রাপ্ত পৌর কাউন্সিল ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ৫নেতা নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির সামনে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের দায় স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
একই সাথে এরূপ আচরণ বিধি লংঘনের ঘটনা আর ঘটবে বলে অঙ্গীকারও করেছেন তারা। সোমবার বেলা ১১টায় হাজির হয়ে তারা কারন দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।
আদালত পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের কার্যালয়ে হাজির হয়ে যারা দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা ও ভবিষ্যতে আর কখনও আচরণ বিধি লংঘিত হবে না বলে অঙ্গীকার করেছেন তারা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলার ৪নং বটতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: রমজান দেওয়ান, গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন। কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ কৌশিক আহমেদ বিচ্চু।
আদালত পুলিশ সূত্রে জানায়, তাদের সকলের বিরুদ্ধেই প্রায় অভিন্ন অভিযোগ যে, হুমকি-ধামকি, ভয়-ভীতি, হামলা, মারধরসহ নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি, প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় বাধাদান, কর্মীদের মারধর ও সাধারণ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে শান্তিপূর্ন নির্বাচনী পরিবেশকে ব্যহত করার চেষ্টার অভিযোগ।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে মাহফুজুর রহমান নামে যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন তাকে আমি চিনিও না জানিও না। সে কিভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলো তা আমি দেখে নেবো, আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করবো’।
এছাড়া কউন্সিলর কৌশিক আহমেদ বিচ্চু তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘সোমবার দুপুরে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে আমি আবার লিখিত বক্তব্য দিয়ে এসেছি’। তবে একাধিকবার কল করলেও আওয়ামী লীগ নেতা দবির উদ্দিন কল কেটে দেন। যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতা রমজান দেওয়ানের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।