ইনুর আসনে প্রার্থী হতে মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন কামরুল আরেফিন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজার কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ছাড়াও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। আসনটি এখনও ফাঁকা রাখা হয়েছে। ইনুকে ছাড় দেওয়ার জন্য আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত না আসায় এবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ইনুকে ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে কামরুল আরেফিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানাগেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ার-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে নির্বাচন করব এবং এ নির্বাচনে জয়লাভও করব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, কুষ্টিয়া-২ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। যদি আমাকে দল নৌকা দেয় তাহলে আমি দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। আর দল না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করব। এজন্যই আজ পদত্যাগ করলাম। দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ নেতা ইনু সাহেব আওয়ামী লীগের ৮০ ভাগ ভোটের ওপর ভর করে বিগত তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ বছর উনার (ইনুর) ২০ ভাগ ভোট নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। তার সময় মিরপুর ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগের চারজন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাই তাকে আর এমপি হিসেবে দেখতে চায় না। দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছে আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের নেতা আমি, আমি জনগণের সঙ্গে থাকতে চাই।
গত তিনটি নির্বাচনে পর পর কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে তথ্যমন্ত্রী হন তিনি।