কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার একটি হত্যা মামলায় জেলা জাসদের নেতাসহ ৩জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের এর বিচারক আবীর পারভেজ জনাকীর্ণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন। রায়ে কারাদন্ডসহ ২৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬মাসের সাজার আদেশ আদালতের।
যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে কুষ্টিয়া জেলা জাসদের প্রচার সম্পাদক কারশেদ আলম(৪৮), বিলআমলা গ্রামের মৃত: বরকত উল্লাহর ছেলে আব্দর রশিদ(৫৮) এবং মৃত: এছের আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৫৯)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৫ আগষ্ট রাত সাড়ে ৭টায় দৌলতপুর উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের আলেক চাদের ছেলে সাহাজুল ইসলাম (২২) কে পূর্ব শত্রæতার জেরে আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে উপর্যুপরি লাঠিসোটা রড চাপাতি রামদা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রদিয়া মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে আশঙ্কাজনক সাহাজুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। সেখানে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহাজুলকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৭দিনপর সাহাজুলের মৃত্যু হয়। এঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই মৃত: আজগার আলীর ছেলে বাদি হয়ে ২০১২ সালের ২২ আগষ্ট ১১জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ এজাহার নামীয় ১১জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে দৌলতপুর থানা পুলিশ চার্জশীট দেয় আদালতে।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার সাহাজুল হত্যা মামলায় জড়িত আসামাীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে ৩জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডসহ প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ২৫হাজার টাকা করে অর্থ দন্ডাদেশ অনাদায়ে আরও ৬মাসের সাজা দন্ডাদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। এমামলায় বাকী ৮জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।