কুষ্টিয়ায় আদ্ দ্বীন হাসপাতালে অপারেশনে পিত্তথলিতে পাথর আপারেশনের সময় ফিরোজা খাতুন (৪৫) নামের রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ডা. মো: আমিরুল ইসলাম কে অসদাচরণ করার ঘটনা ঘটেছে ।
সোমবার (১৯ জুন) সকাল ১১ কুষ্টিয়া শহরস্থ থানাপাড়া ৬ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আদ্ দ্বীন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফিরোজা খাতুন কুষ্টিয়া শহরস্থ থানাপাড়া জিকে স্কুলের পাশ্বে মোঃ আয়য়ুব আলীর স্ত্রী।
আহত ডাক্তার কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের আবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক মো: আমিরুল ইসলাম। অবসরের পর তিনি সনো ডায়াগনস্টিক, আমিন ও আদ্ দ্বীন হাসপাতালে রোগী দেখেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানা যায়, গতকাল সকালে পিত্তথলিতে পাথর অপারেশনের জন্য আদ্ দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি হয়।পরবর্তীতে পরদিন সকালে ৯টা ৩০ মিনিটে অপারেশনর সময় রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়ায় রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে পরবর্তীতে আদ্ দ্বীন কতৃপক্ষ মান্নান হার্ট হাসপাতালে পাঠালে মান্নান হার্ট হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগীর মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে অপারেশনকারী ডাক্তারকে মারধর করে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে পরে কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপারেশনের সময় সাথে থাকা আদ্ দ্বীন হাসপাতালের সিনিয়র স্টার্ফ নার্স আঁখি আক্তার বলেন, “প্রথমে আমরা রোগী নিয়ে আসলাম রোগীর কোন সমস্যার কথা আমাদের বলেনি। ডাক্তার আপারেশন কারার সময় রোগীর সেচুরেশন কমে যায়। পরে আস্তে আস্তে আর শ্বাস নিতে পারছিলো না। শ্বাস কষ্টের জন্যই হয়তো মারা গিয়েছে”।
অপারেশন রুমে থাকা শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ লাবণী আক্তার বলেন, “রোগী আমাদের এখানে মারা যায়নি। অপারেশনের সময় রোগীর শ্বাসকষ্ট হওয়ায় মান্নান হার্ট হাসপাতালে যাওয়ার পথে রোগী মারা যেতে পারে”।
নিহত ফিরোজা খাতুনের ছেলে বলেন, “আমার আম্মুকে সুস্থ অবস্থায় অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। তারপর আমি অপারেশনের জিনিসপত্র কিনতে বাহিরে এসে কিনে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে রোগী অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে অপারেশন করতে পারবো না। তার পরক্ষণেই আমার আম্মু মারা যায়”।
কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাহেব আলী বলেন, ” আমি শুনেছি ডাক্তার অপারেশন করতে গিয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা এসে এখানে কোন হামলার ঘটনা দেখি নি। তবে শুনেছি ডাক্তারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক”।
কুষ্টিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: নাইমুল ইসলাম বলেন, “রোগীর স্বজন আপারেশনের মালামাল কিনতে গিয়েছে আর রোগী স্ট্রোক করে মারা গিয়েছে। ডাক্তার অপারেশন ও করতে পারে নি”।
অপারেশনকারী ডা: মো: আমিরুল ইসলাম বলেন, রোগীকে অ্যানাস্থেসিয়া করা হয়েছিল। আমরা অপারেশনের আগে বলেই নিই রোগীর কিছু হলে আমরা দায়ী নয়। রোগীর বয়স বেশি থাকায় এই দূর্ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে”।