কুষ্টিয়ায় মুরগি ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতায় দুইজন পবাবনা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুফল সরকারের চৌকস অভিযানে পাবনা শালগাড়ীয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোঃ জীবন (৩০) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম হায়দারের ছেলে মো: গোলাম রহমান রবিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, ০৬ মে সকাল ১১টায় সময় ভ্যান চালক মোঃ মিরাজ (৩৫), পিতা-মোঃ ইউসুফ শেখ, সাং-বাটিকামারা, থানা-কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়া ও দোকানের কর্মচারী মোঃ সিজান (১৫), পিতা- আব্দুর রশিদ, সাং-মহেন্দ্রপুর, থানা- কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়াময়কে নগদ ৫৫,০০০/- (পঞ্চান্ন হাজার) টাকা দিয়ে কুষ্টিয়া শহরস্থ চৌড়হাস মোড়ে জনৈক মোঃ মিলন হোসেন (৪৭), পিতা-মৃত লুৎফর রহমান, সাং-চৌড়হাস, বড় পুকুরপাড়া (পশ্চিম) থানা ও জেলা- কুষ্টিয়ার নিকট মুরগী ক্রয়ের জন্য রওনা করিয়ে দিই। ইং-০৬/০৫/২০23 তারিখ সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন কুমারগাড়া ফকিরপাড়া মোঃ জলিল মুহুরী এর বাড়ীর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর পৌঁছানো মাত্রই অজ্ঞাতনামা ০২ (দুই) জন আসামী পিছন দিক হইতে নীল রংয়ের ০১ (এক)টি মোটরসাইকেলে এসে ভ্যান চালক মোঃ মিরাজ ও দোকানের কর্মচারী সিজান ওয়কে থামায় এবং তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দেয়।
এ সময় উক্ত মোটরসাইকেলে থাকা অজ্ঞাতনামা ০২ (দুই) জন আসামীর মধ্যে পিছনে বসে থাকা অজ্ঞাতনামা আসামী মোটরসাইকেল থেকে নেমে ভ্যান চালক মোঃ মিরাজ (৩৫) ও দোকানের কর্মচারী সিজান (১৫) কে. চেক করতে থাকে। একপর্যায়ে ভ্যানের সামনের বাঁচির মধ্যে বাজার করা ব্যাগে রক্ষিত মুরগী জন্য বাবদ নগদ ৫৫,০০০/- (পঞ্চান্ন হাজার) টাকা পেয়ে উক্ত অজ্ঞাতনামা আসামী বের করে নিতে গেলে ভ্যান চালক ও আমার দোকানের কর্মচারী বাধা দেয়।
ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নিকট থাকা ধারালো চাকু ধরিয়া প্রাণ নাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া ভ্যান চালক ও কর্মচারীর নিকট থাকা মুরগী ক্রয় বাবদ নগদ ৫৫,000/- (পঞ্চান্ন হাজার) টাকা জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হইতে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এ সময় ভ্যান চালক ও কর্মচারীর আত্মচিৎকারে পথচলতি লোকজন আগাইয়া আসিলে তাদেরকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বলে এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অজ্ঞাতনামা আসামীদ্বয়কে ধাওয়া করে। সংবাদ পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি এবং ভ্যান চালক ও কর্মচারীর নিকট ঘটনার বিস্তারিত শুনি। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা আসামীদ্বয়ের সন্ধান করিতে থাকি।
পোল্ট্রি ব্যবসায় মোঃ জিল্লুর রহমান কুষ্টিয়া সদর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।