১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলনসহ নিরবতা পালনের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা ভাবগাম্ভীর্য তাৎপর্যের আলোকে আলোচনা সমাবেশ করেছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখা।
বুধবার সন্ধা সাড়ে ৫টায় শহরের জয়বাংলা চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুর্যালের পাদদেশে মোমবাতি জ্বালিয়ে বাংলার সূর্য্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলার সদস্য ও সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হাসান আলীর সভাপেিত্ব শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজ বিজ্ঞান বিভাগের ডিন ডঃ শহিদুর রহমান,কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি জনাব গোলাম মহসিন,ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সওরয়ার মোরশেদ রতন,সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব কারশেদ আলম,বিশিষ্ট কবি ও লেখক আলম আরা জুঁই,কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডঃ নবিনুর রহমান,ডঃ অজয় মৈত্র,বাংলাদেশ নদী পরিবাজক দলের সভাপতি জনাব খলিলুর রহমান মজু,বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পাটি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড হাফিজ সরকার,বাসদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহবায়ক কমরেড শফিউর রহমান শফি,মানবাধিকার কর্মি ও জতি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা হাবিবা,সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব কনক চৌধুরী, সিপিবি কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযুদ্ধা কমরেড রফিকুল ইসলাম,অধ্যাপক দিলশাদ বেগম,সাংবাদিক তৌহিদ হোসেন শিপলু,সাংবাদিক লিটন উজ জামান,সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম,যুবনেতা মাহাবুব হাসান,সাবেক ছাত্রনেতা সুমন আলী, সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে। তারা তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পর রাজধানীর রায়েরবাজার ইটখোলা ও মিরপুরের বধ্যভূমিসহ ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাত বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেদিনের সেই পরাজিত অপশক্তি লেবাস পাল্টিয়ে এখনও ঘাপটি মেরে বিষাক্ত ফনা তুলে বসে আছে। সুযোগ পেলেই এরা বিষধর ছোবল মেরে রক্তভেজা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে খুবলে খাচ্ছে। এসব হিং¯্র হায়েনার দল রক্ত সবুজ পতাকাকে খুবলে খাচ্ছে। তাই কেবলমাত্র বছরের এই দিনটিকেই নানা আয়োজনে স্মরণ করা নয় বরং প্রতিটা মুহুর্তে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গড়ে উঠা সংগ্রামকে আগামী দিনের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে উৎসারিত করার আহবান করেন নেতৃবৃন্দ।