নিহত ছাত্র ওই গ্রামের ব্যবসায়ী সানোয়ার হোসেনের ছেলে ও জিডি সামছুদ্দিন আহমেদ কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
তবে পুলিশ বলছেন, খবর পেয়ে নিজঘর থেকে স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ওই ছাত্র গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আর নিহতের স্বজনরা জানায়, বাবা ব্যবসায়ের কাজে বাইরে থাকেন। মা গত রোববার বড় মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়িতে রাকিব একায় ছিলেন। রোববার রাত ৯ টার দিকে রাকিব নিজকক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে তাঁর চাচী রোজিনা খাতুন তাকে খাবার দিতে গিয়ে শয়নকক্ষ বন্ধ দেখতে পান।
এরপর কয়েকবার ডাকাডাকি ও ঘরের দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। তবুও রাকিবের ঘুম না ভাঙলে পা দিয়ে দরজা খুলে ঘরের ভিতরে যান চাচী রোজিনা। ভিতরে গিয়ে ঘরের বাঁশের আঁড়ার সাথে রশিতে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে উঠেন। তবে কি কারনে রাকিব আত্মহত্যা করেছে বা কি ঘটছে তা জানেনা স্বজনরা।
দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, স্কুল ছাত্র রাকিবের বাড়িতে দুরদুরান্ত থেকে স্বজনরা এসেছেন। কাঁন্নায় ভেঙে পড়েছেন ছাত্রের মা মোছা. রাজিয়া খাতুন। তিনি বলেন, ' আমি বাড়িতে ছিলাম না। রাতেও মোবাইলেে কথা হয়েছিল ওর সাথে। আর সকালে এমন খবর শুনে ছুটে এসে দেখি ব্যাটা আর নেই। আমার ছেলে খুব ভাল। কোনো দোষ ছিলোনা। জানিনা কি কারনে একাজ করেছে।'
চাচী রোজিনা খাতুন বলেন, ' সকালে খাবার দিতে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখে অনেক ডাকাডাকি করি। কিন্তু রাকিবের কোনো সারাশব্দ পাইনি। পরে পা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি ডাবের (আঁড়ার) সাথে ঝুলতেছে।'
তিনি আরো বলেন, ' ও তো খুব ভাল ছোয়াল। কোনো রিপোর্ট ছিলোনা। কি কারনে যে কি হলো, কিছু বুঝতেছিনা। রাতেও আমার সাথে দেখা হয়েছিল।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রের এক চাচাতো ভাই বলেন, ' রাকিব সবসময় মোবাইলে গেম খেলতো। চুপচাপ থাকত। কিন্তু কোনোদিন প্রেমের কথা শুনিনি। কেউ মারে ফেললো কি না তা তদন্ত করা দরকার। '
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, ' খবর পেয়ে নিজঘর থেকে স্কুল ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ওই ছাত্র গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।'