কুষ্টিয়ায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় সেভ ইলেকট্রিসিটি অটো ল্যাম্প উদ্ভাবন করে শ্রেষ্ঠ স্টল প্যাভিলিয়ন ১ পুরষ্কার পয়েছে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
১৬ ও ১৭ নভেম্বর দুই দিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় প্রথাম দিনে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম উদ্বোধন করেন।শেষ দিন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০২২ শেষ হয়েছে।
শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন হওয়া কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সেভ ইলেক্ট্রিসিটি এনার্জি ইফিশিয়েন্ট রোড সাইড/স্ট্রীট/ অটো ল্যাম্প প্রদর্শনী করেছিলাম। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে ইলেকট্রিসিটি কনজামশন কমানো।আমাদের উদ্দেশ্য দেশের সর্বস্তরে এই লাইটের ব্যবহার ছড়িয়ে দেওয়া এবং উদ্ধারকৃত বিদ্যুৎ দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরী ও সচল রাখতে ব্যবহার করা।
এছাড়া আরো বলেন, আমাদের প্রজেক্টের বিশেষ কিছু দিক রয়েছে যেমন সারাদেশে ব্যবহৃত লাইটের ১৫-২০ শতাংশও যদি এই অটো ল্যাম্প ব্যবহার করা হয় তাহলে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০-৩০ MW ( মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা সম্ভব।১ দিন = ২০-৩০ MW সেভিং
৩৬৫ দিনু = (৭০০০-৮০০০) MW সেভিং হবে।৭-৮ হাজার মেগাওয়াট সেভিং বাৎসরিক হিসেবে দেশের জাতীয় ইলেকিট্রক গ্রীড এ ব্যাপক প্রভাব রাখতে সক্ষম।
এটা তৈরী করা এতোটাই সহজ যে প্রোডাক্ট আকারে ইন্ডাস্ট্রি বেজ করে ১-২ মাসের মধ্যে সারাদেশে
ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।সেভ ইলেকট্রিসিটি আনোদালন ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সারাদেশের মানুষকে ইলেক্ট্রিসিটি সেভ এসচেতন করা। ইলেকট্রিক সংকটের ভয়াবহতা আমারা কিছু দিন আগেও টের পেয়েছি। এর জন্য জাতীয়
জীবনে বহুমূখি সংকট তৈরী হচ্ছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইলেকট্রনিক্স বিভাগের শিক্ষক বলেন, প্রথমে যদি কুষ্টিয়া জেলার সর্বস্তরে এই অটো ল্যাম্প সেট এবং আস্তে আস্তে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে অনেক ভালো হবে । একারণে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগীতা অতীব জরুরী। এই প্রোডাক্টটা বৃহৎ পরিসরে উৎপাদন করার জন্য আমাদের যথেষ্ঠ দক্ষ ম্যান পাওয়ার আছে। সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে এই প্রোডাক্টটার একটি ফ্যাক্টরি তৈরীর জন্য আমাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা দরকার। এখানে উইন উইন সিচুয়েশন।