কুষ্টিয়ায় বালু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক বালু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বালু কেনাবেচা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে শাজাহান (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে বাঁশ ও হাতুড়িপেটা করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
তিনি কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গোবরা গ্রামের মৃত ইয়াকুব মিস্ত্রির ছেলে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়। বালু কেনাবেচা নিয়ে একই এলাকার মৃত গনজের আলীর ছেলে আইচ উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল শাজাহানের। এ নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় আইচ উদ্দিনের বাড়িতে সালিস বৈঠক হয়। মঙ্গলবার সকালে শাজাহান দোকানে যাচ্ছিলেন। এ সময় আইচ উদ্দিন ও তাঁর ছেলে নয়ন এবং হৃদয় সহ কয়েকজন মিলে তাকে বাঁশ ও হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়লে সকালেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহত শাজাহানের ছেলে সজিব বলেন। বালু নিয়ে আইচ উদ্দিনের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে সালিস বৈঠকে সব মিটমাট করা হয়। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে মঙ্গলবার সকালে আমার বাবার ওপর আইচ উদ্দিন ও তাঁর ছেলেরা বাঁশের লাঠি ও হাতুড়ি নিয়ে হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি মারপিট করে আমার বাবাকে। আমার বাবাকে ওরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা থানায় মামলা করব, আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ দিকে ঘটনার পর থেকেই আইচ উদ্দিনের পরিবার গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইনের সরকারি মোবাইল নম্বরে বারবার কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ না করে কেটে দেন। তবে ওই থানার আওতাধীন চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. ইমদাদুল হক বলেন, বালু সংক্রান্ত জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।