কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক হাফেজিয়া মাদ্রাসা ছাত্র (১২) কে বলাৎকারের অভিযোগ তুলে ওই মাদ্রাসার ৪ হুজুর (শিক্ষক) কে পিটানো অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রের বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে) কুমারখালী পৌরসভার মোহাম্মদীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এঘটনা ঘটে।
মারপিটের শিকার ব্যক্তিরা হলেন ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আলহাজ জুবায়ের, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা মোতালেবুর রহমান ও হাফেজ মো. মিজবাউদ্দিন। তাঁদের মধ্যে মিজবাউদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে মাদ্রাসার শিক্ষকরা বলাৎকারের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘ মাদ্রাসাটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এমন কোনো ঘটনা ঘটেইনি। অহেতুক ওই ছাত্রের বাবা ও চাচা মাদ্রাসায় ঢুকে সকল শিক্ষককে মারপিট শুরু করেন।
ওই ছাত্রের বাবা বলেন, ‘ দুদিন আগে আমার ছেলে হুজুর মিজবাউদ্দিন বলাৎকার করেছেন। সোমবার দুপুরে ছেলে বাড়ি এসে ঘটনাটি জানালে ক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে হুজুরকে মারপিট করেছি। থানায় মামলা করা হবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব জুবায়ের বলেন, ‘ ওই ছাত্র পড়েন চারতলায়। আর পাঁচ তলার শিক্ষার্থীদের মারধর করত। আমরা নিষেধ করলেই ওই ছাত্র বাড়িতে বলে দেয়। আর বাবার ভয় দেখাতো। সোমবার সকালেও অন্যান্য ছাত্রদের মারধর করে এবং তাকে নিষেধ করা হলে হুমকি দিয়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর বিকেলে ওর বাবা ও চাচা এসে মারপিট শুরু করে দেন।’
সহকারী শিক্ষক মিজবাউদ্দিন বলেন, ‘ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেইনি। অথচ মিথ্যে অজুহাতে আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন। বিষয়টি পরিচালনা কমিটিকে জানানো হয়েছে।’
মাদ্রাসাটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহিম বলেন, ‘ ছেলেটি সকালে শিক্ষকদের মারপিটের হুমকি দিয়েছিল। আর বিকেলেই বাপ – চাচা দিয়ে মারপিট করেছে। মাদ্রাসায় কোনো খারাপ ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) কমিটির সবার সাথে বসা হবে। বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি করা যায়।’
কুমারখালী থানার ওসি মো. মহসীন হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, ‘ সারাদিন সরকারি কাজে বাইরে ছিলাম। এমন ঘটনা জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’