তরুণ একজন ভ্যানচালক। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটারি চালিত ভ্যানে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে ছুটে চলছে নির্দিষ্ট গৌন্তব্য। বোঝার উপায় নেই ভ্যানচালকের দুই পা প্যারালাইজড চলাচলে অক্ষম। শরীরটা কঠিন রোগে জর্জরিত। যে অসুস্থতায় শয্যাশায়ী হওয়ার কথা সেই অবস্থায় ৩চাকায় চলছে জীবন।
এমনই দৃশ্য দেখা যায় হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের রাস্তায়, মোঃ আকাশ ইসলাম(২৩) পিতাঃ আক্কাস আলী। হাটশ হরিপুর ২নং ওয়ার্ড সাগরখালি মাঠের পাশেই কোনমতে মাথা গোঁজার ঠাই হয়েছে। ১ছেলে ১মেয়ে নিয়েই সংসার করছে। ৬বছর ধরে অসুস্থতা তবুও দমে যায়নি কারো কাছে কোনদিন হাত পেতে সাহায্য কামনা করেনি। ৭বছর আগে এপেনডিক্স অপারেশন করার পর থেকে দিন দিন শারীরিকভাবে অক্ষমতা লক্ষ্য করা যায় কয়েক বছর যেতে না যেতেই ২পায়ের শক্তি হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে।
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা, রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া সহ নানা সমস্যা শরীরে বাসা বেঁধেছে। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতাল সহ সকল জায়গায় চিকিৎসা করেও কোন সুফল পায়নি। শত কষ্টে কোনমতে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি আকাশ। একসময়ে হাঁসি খুশি ভরা মুখটা এখন বিষাদে ভরা। ছোট ছোট ২টা শিশু বাবার মুখে দিকে তাকিয়ে থাকে। ইচ্ছা করলেও বাচ্চা ২টা কোলে নিতে পারেনা।
যেখানে দুমুঠো খাবার জোগার করতে হিমশিম খেতে হয় সেখানে চিকিৎসার খরচ চালানোটা কল্পনা ছাড়া কিছু না। চিকিৎসক জানিয়েছে, দ্রুত ভারতে উন্নত চিকিৎসা করা হলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে আকাশ।
এলাকাবাসী জানান, আকাশ আমার এলাকার ছেলে এমন অসুস্থতা নিয়েও সে ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে সংসার চালাচ্ছে। আকাশ অনেক ভালো ছেলে খুব কষ্ট হয় ছেলেটাকে দেখলে। সমাজের বিত্তবান, দানশীল ব্যক্তিরা আকাশের উন্নত চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসবে এমনটাই দাবী এলাকাবাসীর।
সাহায্য ও পরামর্শঃ
নগদ একাউন্ট পারসোনাল
01855603228